ওত পেতে থাকেন রাজধানীর অভিজাত এলাকার নামিদামি বার ও হোটেলে। তাদের টার্গেট বিভিন্ন দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, কূটনৈতিক, রাষ্ট্রদূত, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী ও ধনাঢ্য ব্যক্তি। এরপর সুযোগ বুঝেই পাতেন ‘হানি ট্র্যাপ’, আর সেই ট্র্যাপেই পা দিয়ে ধড়াশায়ী অনেকে।
যৌনতা ও শারীরিক সম্পর্কের প্রলোভন দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে মোটা অঙ্কের টাকা আত্মসাৎ ও গুরুত্বপূর্ণ কাজ বা তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে হানি ট্রাপ চক্রগুলো। ঢাকার অভিজাত এলাকা ধানমন্ডি, গুলশান, বনানী, বারিধারা, নিকেতন ও উত্তরায় ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে হানি ট্র্যাপ চক্রের সদস্যরা টার্গেটকৃত ব্যক্তিদের ব্ল্যাকমেইল করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে বিলাসবহুল বাসাবাড়ি, নামিদামি হোটেল-রেস্তোরাঁয় একাধিক চক্র এই কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। সম্প্রতি মডেল মেঘনা আলম গ্রেপ্তার হওয়ার পর ফের আলোচনায় হানি ট্র্যাপ। আবার কেউ কেউ দেখছেন বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার ইন্ধন।
গোয়েন্দা তথ্যমতে, প্রতিবেশী ভারতীয় গোয়েন্দা ‘র’ পরিকল্পিত জাল পেতে ফাঁয়দা লুটছে। মেঘনা আলমের হানি ট্র্যাপের শিকার হয়েছেন সৌদি আরবের বিদায়ি রাষ্ট্রদূত ইসা বিন ইউসেফ আল দুহাইলা।
মেঘনার হানি ট্র্যাপকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ভয়াবহ ষড়যন্ত্র বলে জানিয়েছেন তদন্তসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, শুধু সৌদি আরবের বিদায়ি রাষ্ট্রদূতই নন, সুন্দরী মেঘনার ফাঁদে ধরাশায়ী হয়েছেন আরও তিনজন রাষ্ট্রদূত। যদিও মেঘনা আদালতে দাবি করেছেন, শুধু ইসা বিন ইউসেফের সঙ্গেই তার ঘনিষ্ঠতা ছিল।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, হানি ট্র্যাপ চক্রগুলো ধনাঢ্য ও প্রভাবশালীদের সঙ্গে ফেসবুক বা হোয়াটঅ্যাপসসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বন্ধুত্ব ও কথোপকথন, এরপর ভিডিও কলে ঘনিষ্ঠ আলাপচারিতা এবং অশ্লীল কর্মকাণ্ডের দৃশ ধারণ করে তা দিয়ে নানাভাবে প্রতারণা এবং দীর্ঘ মেয়াদে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয় মোটা অঙ্কের টাকা।
জানা গেছে, হানি ট্র্যাপ মূলত একধরনের অপকৌশল। বাংলা অনুবাদে একে ‘প্রেম বা ভালোবাসার ফাঁদ’ নামে অভিহিত করা যেতে পারে। সহজ কথায় এটা হলো যৌনতার প্রলোভন দেখিয়ে কাউকে ব্ল্যাকমেইল করা।
এ ছাড়া যৌনতা ও শারীরিক সম্পর্কের প্রলোভন দেখিয়ে কাজ করিয়ে নেওয়ার নামই হানি ট্র্যাপ। তবে নিছক মজা করার জন্য এই ফাঁদ পাতা হয় না, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, রাজনৈতিক নেতা, ব্যবসায়ী বা গোয়েন্দাদের কাছ থেকে তথ্য হাতিয়ে নেওয়া এর প্রধান উদ্দেশ্য।
অতীতের ন্যায় বর্তমানেও গুপ্তচরবৃত্তির কাজে ‘হানি ট্র্যাপ’ বা সুন্দরী নারীদের দিয়ে ফাঁদ পাতা হচ্ছে। তবে সময়ের সাথে সাথে ধরন কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। আগে শুধু গুপ্তচরবৃত্তিতে হানি ট্র্যাপ ফাঁদ পাতা হতো, আর এখন গুপ্তচরবৃত্তির পাশাপাশি ব্ল্যাকমেইলিংয়ের মাধ্যমে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
‘হানি ট্র্যাপ’ চক্রটি বিভিন্নভাবে নারী সরবরাহ ও দেহব্যবসার একটি নেটওয়ার্ক গড়ে তোলে। এরপর গোপনে মেলামেশার ভিডিও ধারণ করে শুরু হয় ব্ল্যাকমেইলিং। ঢাকার একাধিক হানি ট্র্যাপ চক্র আর্থিক সুবিধা, তথ্য পাচার, ভিসা তদবির বা আদম পাচারে যুক্ত।
বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে মিলে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচার এবং বড় বড় কাজ পেতে সরকারি কর্মকর্তা ও রাজনীতিকদের হানি ট্রাপের ফাঁদে ফেলে ফায়দা লুটে নিচ্ছে।
আর এতে সহায়তা করেন দেশের হাইপ্রোফাইল কিছু সুন্দরী নারী ও বিনোদনজগতের সুন্দরী তারকারা। দৃশ্যমান রোজগার ছাড়াই চক্রের সুন্দরী নারী, তথাকথিত সেলিব্রেটিরা ভিআইপি স্ট্রাইলে চলাচল করেন। ঘুরে বেড়ান দেশে-বিদেশে, চড়েন দামি গাড়িতে, থাকেন অভিজাত ফ্ল্যাটে।
ঢাকায় ‘হানি ট্র্যাপ’-এর একাধিক সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র সক্রিয় রয়েছে। চক্রগুলো বিভিন্ন সুন্দরী মেয়েদের দিয়ে বাংলাদেশে কর্মরত বিভিন্ন বিদেশি রাষ্ট্রের কূটনীতিক বা প্রতিনিধি, সরকারি উচ্চপদস্ত কর্মকর্তা, রাজনৈতিক ও দেশীয় ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপন করিয়ে কৌশলে বিভিন্ন উপায়ে অবৈধ পন্থা অবলম্বনের মাধ্যমে তাদের সম্মানহানীর ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায় ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করে আসছে।
ধনাঢ্য ও প্রভাবশালীদের সঙ্গে ফেসবুক, হোয়াটঅ্যাপসসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বন্ধুত্ব ও কথোপকথন, এরপর ভিডিও কলে ঘনিষ্ঠ আলাপচারিতা এবং অশ্লীল কর্মকাণ্ডের দৃশ ধারণ করে তা দিয়ে নানাভাবে প্রতারণা এবং দীর্ঘ মেয়াদে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয়।
সুন্দরী নারীদের হানি ট্র্যাপ চক্রে বিশাল একটি সিন্ডিকেট কাজ করে। সিন্ডিকেট সদস্যরা কেউ টার্গেট খোঁজে, কেউ টার্গেটের তথ্য সংগ্রহ করে, কেউ ঘটনা এক্সিকিউট করার কাজে যুক্ত থাকে।
গোয়েন্দা সূত্রমতে, দেশে হানি ট্র্যাপ চক্রগুলো দুটি উপায়ে কাজ করে থাকে। টার্গেট করা ব্যক্তিকে ফাঁদে ফেলতে সীমান্ত অঞ্চল এবং ভারতের প্রতারক চক্রের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করার পাশাপাশি দেশীয়দের নিয়ে সিন্ডিকেট গড়ে তোলে।
যৌনতা ও শারীরিক সম্পর্কের প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ আদায় তাদের কাজ হলেও এক পক্ষের সঙ্গে অপর পক্ষের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। দেশীয় হানি ট্র্যাপের প্রতিটি চক্রে আনুমানিক ৩০-৩৫ জন সদস্য রয়েছেন। তাদের মধ্যে ছয়-সাতজন তরুণী ও মধ্যবয়স্ক নারী।
এই চক্রের নারী সদস্যরা রাজধানীর নাইট ক্লাব, তারকা হোটেলের বার ও নামিদামি ক্লাবগুলোতে যাতায়াত করেন। সাধারণত এসব জায়গায় বিত্তশালীরা যান। তরুণীরা বিত্তশালী ও বিবাহিতদের টার্গেট করেন।
কারণ, তারা তাদের সামাজিক মর্যাদা রক্ষার্থে মোটা অঙ্কের টাকা খরচ করতেও দ্বিধাবোধ করেন না। দেশীয় চক্রের অধিকাংশ সদস্য রাজধানী ঢাকায় থাকেন না। তারা ঢাকার আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে এসে হোটেল বা বারে সময় কাটিয়ে আবার ফিরে যান। তরুণীরা বেশ কয়েক দিন ধরে বিত্তশালীদের টার্গেট করেন।
এরপর তাদের সঙ্গে স্বাভাবিক কথাবার্তা বলেন, মদ খান। অনেক সময় পৃথক রুমে সময় কাটান। সম্পর্কের দুই-তিন সপ্তাহ পার না হতেই তরুণীরা ওই ব্যক্তিকে একসঙ্গে রাত কাটানোর প্রস্তাব দেন। রাত কাটানোর জন্য হোটেল বেছে নেন তারা।
এ ছাড়া তরুণীকে নিয়ে ফার্মগেট, মতিঝিল, পল্টন ও নবাবপুর এলাকার নিম্নমানের হোটেলগুলোতে একান্তে সময় কাটানোর সময় সেখানে হানা দেন কথিত ডিবি অফিসার, সাংবাদিক কিংবা ম্যাজিস্ট্রেট। অস্ত্রের মুখে তাদের দিয়ে জোর করে নগ্ন ছবি তোলা হয়, ভিডিও ধারণ করা হয়।
এরপর বারবার সেই ভিডিও দেখিয়ে বিত্তশালী ওই ব্যক্তিকে ব্ল্যাকমেইল করেন চক্রের সদস্যরা। সিন্ডিকেট সদস্যদের ধারণা, সরকারি কর্মকর্তাদের এ ধরনের কেলেঙ্কারির ঘটনা বাইরে এলে তাদের চাকরি হারানোর সম্ভাবনা থাকে। চাকরি হারানোর ভয় থেকে তাদের কাছে যা চাওয়া হয় তা তারা দিয়ে দেন।
রাজধানীর পাঁচ তারকা হোটেলগুলোর পাশাপাশি বিভিন্ন নামিদামি ক্লাবে সুন্দরী তরুণীদের সাথে পরিচিত হন ভুক্তভোগীরা। হানি ট্র্যাপ চক্রগুলোর নারী সদস্যরা রাজধানীর নাইট ক্লাব, তারকা হোটেলের বার ও নামিদামি ক্লাবগুলোতে সক্রিয়। সেখানে বিত্তশালীদের টার্গেট করেন তারা।
বিভিন্ন সময়ে ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া আসামিরা পুলিশকে জানান, তারা (তরুণীরা) পাঁচ তারকা হোটেল বা ক্লাবে গিয়ে উচ্চবিত্তদের সঙ্গে সম্পর্ক করেন।
অনেক সময় তারা নিজের পকেট থেকে টার্গেট করা ব্যক্তিকে মদ কিংবা অন্য খাবারের বিল পরিশোধ করেন, যাতে দ্রুত তাদের সান্নিধ্য পাওয়া যায়। দেশীয় চক্রের একটি অংশের সদস্যরা রাজধানী ঢাকায় থাকেন না।
তারা ঢাকার আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে এসে হোটেল বা বারে সময় কাটিয়ে আবার ফিরে যান। সাভার, নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
এই চক্রের কিছু সদস্য কেরাণীগঞ্জের দিকে থাকেন বলেও জানা গেছে। পুলিশের কাছে গেলে সংবেদনশীল বিষয়গুলো জানাজানি হয়ে যেতে পারে এই ভয়ে মুখ খোলেন না ভুক্তভোগীরা।
দেশের চক্রগুলো হানি ট্র্যাপে ফেলে একবারে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করে। টাকা আদায়ের পর ভুক্তভোগীকে তারা আর কোনোভাবে বিরক্ত করে না। তারা সর্বনিম্ন ২০ লাখ থেকে সর্বোচ্চ কোটি টাকা পর্যন্ত নেয়।
টাকা আদায় করে বিকাশ কিংবা নগদ অ্যাপের মাধ্যমে। এ ছাড়া অনেক সময় চক্রের তরুণীরা অজ্ঞাত স্থানে ডেকে নগদে টাকা আদায় করে থাকে। মর্যাদাসম্পন্ন ও ভুক্তভোগীরা মনে করেন, আইনি ব্যবস্থা নিলে বা পুলিশের কাছে গেলে তার সংবেদনশীল তথ্যগুলো গণমাধ্যমে চলে আসতে পারে।
এতে তার সামাজিক অবস্থান প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে। এসব ভয়ে তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে যেতে চান না। সহজ উপায় হিসেবে তারা ‘অর্থ দিয়ে প্রতারক চক্রকে ম্যানেজ করাই উত্তম’ হিসেবে বিবেচনা করেন।
ভারতীয় সুন্দরী তরুণীদের পাতা ফাঁদে পা দিয়ে বড় অঙ্কের টাকা খুইয়েছেন দেশের স্বনামধন্য ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ, সরকারি কর্তা, সাংবাদিক ও সেলিব্রিটিরা।
সাধারণত দেশের বিত্তশালী, ব্যবসায়ী, ভিআইপি ও গোয়েন্দা সংস্থার লোকজনকে হানি ট্র্যাপ বা ‘মধু ফাঁদে’ ফেলেন প্রতারকারা। মূলত তথ্য ও অর্থ হাতিয়ে নিতে এই পন্থা অবলম্বন করেন তারা।
রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন গোপন তথ্যর পাশাপাশি বাংলাদেশে মোটা অঙ্কের অর্থ পেতে সরকারি কর্মকর্তা, সেলিব্রিটি সাংবাদিক, ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদদের ফাঁদে ফেলে ভারতীয় তরুণীদের দিয়ে গড়ে তোলা চক্রগুলো এবং দেশের একাধিক চক্র। দেশে হানি ট্র্যাপের ঘটনা আগের চেয়ে বেশি ঘটছে।
অতিরিক্ত অর্থের লোভে পড়ে একশ্রেণির উচ্চাভিলাসী সুন্দরীরা সহযোগীদের নিয়ে একেকটি চক্র গড়ে তুলছেন। তাদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, একশ্রেণির অসাধু সদস্য ও বিনোদনজগতের লোভী তারকারা জড়িয়ে পড়ছেন।
গত কয়েক বছরে এমন বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে, যাতে বেশ কয়েকজন শোবিজ তারকা গ্রেপ্তারও হয়েছেন, গণমাধ্যমে সংবাদও হয়েছে। সর্বশেষ মডেল আলমের ঘটনা দেশজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে।
মডেল ও উদ্যোক্তা মেঘনা আলমের ‘হানি ট্র্যাপের’ মূল টার্গেটে ছিলেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও ধনাঢ্য ব্যবসায়ীরা। হাইপ্রোফাইল এসব লোকের সঙ্গে কৌশলে সখ্য গড়ে ঘনিষ্ঠ হতেন, আর সেই ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি গোপনে ভিডিও করে রাখতেন। পরে ব্ল্যাকমেইল করে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করতেন মেঘনা আলম ও তার সহযোগীরা।
টার্গেট ব্যক্তিকে ব্ল্যাকমেইল করে টাকা আদায়ের মূল দায়িত্ব ছিলেন মেঘনা আলমের অন্যতম সহযোগী মানব পাচার চক্রের হোতা মো. দেওয়ান সমীর (৫৮)।
এই চক্রের সর্বশেষ টার্গেট ছিলেন সৌদি আরবের সদ্য বিদায়ি রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ বিন ঈসা আল দুহাইলান। চক্রটি সৌদি রাষ্ট্রদূতের কাছে ৫ মিলিয়ন (৫০ লাখ) ডলার দাবি করেছিল। বর্তমানে মেঘনা আলম কারাগারে এবং দেওয়ান সমীর রিমান্ডে রয়েছেন।
মেঘনা আলমের গ্রেপ্তারকাণ্ডের আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেই ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের প্রধান রেজাউল করিম মল্লিককে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
গত শনিবার ডিএমপি কমিশনারের কার্যালয়ের এক আদেশে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। ডিবিপ্রধানকে সরিয়ে দেওয়ার নেপথ্যে মেঘনা আলমের বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে মনে করছেন পুলিশের অনেক কর্মকর্তা।
আপনার মতামত লিখুন :