শিগগিরই নদীবন্দরের কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাঁকখালী নদীর বদর মোকাম, কস্তুরাঘাট, পেশকারসহ বিভিন্ন অংশ সরেজমিনে পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা জানান।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন, বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
এ সময় বাঁকখালী নদীর কস্তুরাঘাট পয়েন্টে নেমে প্যারাবন নিধন করে তৈরি করা অবৈধ বসতবাড়ি, দোকানপাট, পোলট্রি ফার্ম, চিংড়িখামার, আবাসনের জন্য নির্মিত প্লট দেখেন দুই উপদেষ্টা।
কস্তুরাঘাট গোলচত্বরে পৌঁছে দুই উপদেষ্টা বাঁকখালী নদীর সীমানা-সংলগ্ন মানচিত্র দেখেন। এ সময় কক্সবাজার পৌরসভার ময়লার স্তূপ, দখলে থাকা পেশকার পাড়ার অংশে যান দুই উপদেষ্টা যান।
এ সময় নদীর তীর দখল উচ্ছেদ দ্রুত শুরু হবে বলে জানান নৌপরিবহন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন।
তিনি বলেন, ‘আমি বন্দর করব, বাকিরা দখল করবে, তা হয় না। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এসব অবৈধ দখল উচ্ছেদ করা হবে। নদীর নির্ধারিত সীমানা রয়েছে। যা গেজেট আকারে আছে। এর মধ্যে যারা দখল করে আছে তাদের সরে যেতে বলা হয়েছে। তা না হলে উচ্ছেদ করা হবে। অনেক বছর ধরে এই দখল প্রক্রিয়া। নদীবন্দর করতে হলে নদী দরকার। নদীর তীর দখল উচ্ছেদ দ্রুত হবে। সরে যেতে আর সময় দেওয়া হবে না।’
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘কক্সবাজার থেকে অনুমানিক ১২ হাজার একর বনভূমি উদ্ধার করে বন বিভাগকে দিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। যা তথাকথিত উন্নয়ন এবং ব্যক্তির স্বার্থে ব্যবহারের জন্য দেওয়া হয়েছিল।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘আগে যখন পরিবেশকর্মী ছিলাম, এসেছিলাম। এখন এসেছি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীলদের সঙ্গে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বলছে, দ্রুত সময়ের মধ্যে অবৈধ দখল উচ্ছেদ করা হবে। কোন কোন ক্ষেত্রে আইনি প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, হাইকোর্ট থেকে স্থিতি অবস্থা আছে, তা আইনিভাবে মোকাবিলা করা হবে।’
আপনার মতামত লিখুন :