সাম্প্রতিক যেকোনো সময়ের চেয়ে ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা এখন তুঙ্গে। শঙ্কা রয়েছে ২৬ বছর পর একে অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়ানোর। এমন পরিস্থিতিতে চিরশত্রু দেশ দুটির সামরিক সক্ষমতা নিয়েও শুরু হয়েছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। দেখা যাচ্ছে, জলে ও আকাশে নয়াদিল্লির আধিপত্য থাকলেও স্থলভাগে এগিয়ে ইসলামাবাদের সেনারা।
কাশ্মীরের পেহেলগামে হওয়া এই হামলাকে অঞ্চলটির সাম্প্রতিক ইতিহাসে বেসামরিকদের ওপর অন্যতম ভয়াবহ হামলা হিসেবে দেখা হচ্ছে। ভারতের সেনাবাহিনী ও কাশ্মীর প্রশাসন বর্তমানে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করেছে। ভারতের দাবি, হামলার দায় স্বীকারকারী সংগঠন ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ বা টিআরএফ আসলে পাকিস্তানভিত্তিক নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী গোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈয়বার একটি শাখা। লস্কর-ই-তৈয়বা জাতিসংঘের ঘোষিত সন্ত্রাসী তালিকাভুক্ত সংগঠন। নয়াদিল্লি দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছে, পাকিস্তান এসব সংগঠনকে সমর্থন দেয়। তবে ইসলামাবাদ দাবি করছে, তারা কোনো জঙ্গি সংগঠনকে সমর্থন করে না, তবে কাশ্মীরের স্বাধীনতাকামী আন্দোলনের প্রতি তাদের নৈতিক ও কূটনৈতিক সমর্থন রয়েছে।
১৯৪৭ সালে ভারত ভাগ ও পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকে পারমাণবিক শক্তিধর দুই প্রতিবেশী দেশ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এই ভূখণ্ড নিয়ে দুটি যুদ্ধ করেছে। দুই দেশই এই অঞ্চলের পুরোটা নিজেদের দাবি করে, তবে নিয়ন্ত্রণ করে আংশিকভাবে। চীনও এই অঞ্চলের কিছু অংশে শাসন পরিচালনা করে এবং এটি বিশ্বের অন্যতম অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত সামরিকায়িত অঞ্চল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। ২০১৯ সালে ভারতের পার্লামেন্ট এই অঞ্চলের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে, যা এই অঞ্চলকে স্বায়ত্তশাসনের কিছুটা অধিকার দিয়েছিল। তখন জম্মু-কাশ্মীর দুই অংশকে কেন্দ্রীয়ভাবে পরিচালিত দুটি অঞ্চলে বিভক্ত করা হয়। এরপর থেকে ভারত সরকার বারবার দাবি করেছে যে এই অঞ্চলে নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে এবং ভারতীয় শাসনের বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহ থামানো গেছে। তবে মঙ্গলবারের মর্মান্তিক ঘটনার পর ভারত সরকারের সেই দাবি নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন সমালোচকেরা।
পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় পর্যটক নিহতের ঘটনায় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে। গুঞ্জন রয়েছে, ২০১৯ সালের মতো সীমানা পেরিয়ে হামলা চালাতে পারে নয়াদিল্লির সেনারা। তবে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে ছেড়ে কথা বলা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইসলামাবাদ।
এমন পরিস্থিতিতে শঙ্কা রয়েছেÑ ২৬ বছর পর আবারও যুদ্ধে জড়াতে পারে দুই দেশ। যুদ্ধের শঙ্কার মধ্যেই ভারত ও পাকিস্তানের সামরিক সক্ষমতা নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার ইনডেস্কের তথ্য বলছে, শক্তিমত্তার দিক থেকে ভারত চতুর্থ অবস্থানে থাকলেও পাকিস্তানের অবস্থান ১২তম। তবে যুদ্ধ শুরু হলে জয়-পরাজয় নির্ধারণ এতটা সহজ হবে না। কারণ, বেশ কিছু জায়গায় ভারত এগিয়ে থাকলেও বিভিন্ন ক্ষেত্রে পাকিস্তান ধরে রেখেছে নিজেদের আধিপত্য। ভারতের সামরিক বাহিনীতে কর্মরত সদস্যের সংখ্যা সাড়ে ১৪ লাখের বেশি, যা বিশ্বের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। বিপরীতে পাকিস্তানের ক্ষেত্রে এই সংখ্যা অর্ধেকেরও কম। রিজার্ভ সেনার দিক থেকেও পার্থক্য দ্বিগুণের বেশি। সামরিক খাতে নয়াদিল্লির বাজেট ৭ হাজার ৫০০ কোটি ডলার। উলটোদিকে এই খাতে ইসলামাবাদের বার্ষিক বাজেট মাত্র ৭৫০ কোটি ডলারের কিছু বেশি। আকাশ ও জলে পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে আছে ভারত। নয়াদিল্লির এয়ারক্রাফ্টের সংখ্যা ২ হাজার ২২৯, যার মধ্যে ৫০০টির বেশি ফাইটার জেট। বিপরীতে ইসলামাবাদের মোট এয়ারক্রাফ্ট প্রায় ১ হাজার ৪০০, যার মধ্যে যুদ্ধবিমানের সংখ্যা ৩২৮। তবে প্রয়োজন অনুসারে যুদ্ধক্ষেত্রে দ্বিগুণ ট্রেনার এয়ারক্রাফ্ট মোতায়েনের সক্ষমতা রয়েছে পাকিস্তানের। অন্যদিকে ভারতের ভান্ডারে দুটি বিমানবাহী রণতরির পাশাপাশি রয়েছে ২৯৩টি ফ্লিট ও ১৮টি সাবমেরিন, যার মধ্যে ১০টি ডুবোজাহাজই ৩০ বছরের পুরোনো।
অন্যদিকে পাকিস্তান নৌবাহিনীর কাছে ১২১টি ফ্লিটের মধ্যে কোনো রণতরি না থাকলেও রয়েছে আটটি অত্যাধুনিক সাবমেরিন। পাশাপাশি চীনে তিনটি ডুবোজাহাজ নির্মাণের কাজ শেষ পর্যায়ে। এ ছাড়া শেহবাজ শরীফ সরকারের হাতে তিনটি মিনি ওয়ারফেয়ার থাকলেও এখনো এর খাতা খুলতে পারেননি নরেন্দ্র মোদি।
এদিকে ভারতীয় ও পাকিস্তানি নাগরিকদের পরস্পরের দেশত্যাগের শেষ দিন ছিল শুক্রবার, যা ঘিরে সীমান্ত ক্রসিংগুলোয় ছিল অসংখ্য মানুষের সমাগম। যদিও দ্বৈত নাগরিকদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে তৈরি হয় জটিলতা। এদিকে কারতারপুর করিডর বন্ধের শঙ্কায় দিন পার করছেন দুই দেশের লাখো শিখ ধর্মাবলম্বী। পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর বেশ কিছু পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপ নেয় দুই দেশ। এর মধ্যে ভিসা স্থগিতের পাশাপাশি রয়েছে অপর দেশের নাগরিকদের দেশত্যাগের নির্দেশনা। শুক্রবার শেষ হয়েছে দেশত্যাগের সময়সীমা। শেষ মুহূর্তে সীমান্ত ক্রসিংগুলোয় লক্ষ করা গেছে উপচে পড়া ভিড়। বিদায়বেলায় সীমান্তের দুই প্রান্তে তৈরি হয় হৃদয়বিদারক পরিস্থিতি। গেল তিন দিনে নিজ দেশে ফিরেছেন কয়েক শ ভারতীয় ও পাকিস্তানি নাগরিক। যদিও অনেক দ্বৈত নাগরিককে আটকে দেওয়া হয় আটারি ওয়াগাহ বর্ডারে।
এদিকে দ্বিতীয় দিনের মতো গত শুক্রবার দিবাগত রাতে গোলাগুলি হয়েছে। পেহেলগামে হামলার পর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা চলছে। এক দেশ অন্য দেশের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ভারতের সেনাবাহিনী দাবি করেছে, গত শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে নিয়ন্ত্রণরেখার (এলওসি) বিভিন্ন পয়েন্টে পাকিস্তানি বাহিনীর সেনাচৌকি থেকে ‘উসকানিমূলকভাবে’ হালকা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি চালানো হয়। জবাবে ভারতীয় বাহিনীও পাল্টা গুলি ছোড়ে।
ইসলামপন্থি হামলা বললেন তুলসী গ্যাবার্ড, মোদির পাশে থাকার বার্তা
কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ২৬ জন পর্যটকের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বার্তা দিয়েছেন মার্কিন গোয়েন্দা পরিচালক তুলসী গ্যাবার্ড। শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে তুলসী বলেছেন, হিন্দুদের হত্যাকারী ভয়াবহ ইসলামপন্থি সন্ত্রাসী হামলার প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্র ভারতের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করছে। খবর এনডিটিভির। দিল্লির প্রতি ওয়াশিংটনের পুরো সমর্থন আছে উল্লেখ করে মার্কিন গোয়েন্দাপ্রধান মোদিকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, জঘন্য এই হামলার জন্য দায়ীদের খুঁজে বের করতে আমরা আপনার সঙ্গে আছি এবং আপনাকে সমর্থন করছি। কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর হামলার ঘটনায় এর আগে গত বুধবার নরেন্দ্র মোদিকে ফোন করে নিন্দা ও সমবেদনা জানান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে ভারতের প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেন। এ ছাড়া কাশ্মীরে হামলার কয়েক ঘণ্টা পর নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট দেন ট্রাম্প। ট্রাম্প লেখেন, কাশ্মীরের খবরে গভীরভাবে মর্মাহত হয়েছি। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্র বলিষ্ঠভাবে ভারতের পাশে রয়েছে।
‘নিজেরাই সমাধান বের করবে’: ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা নিয়ে ট্রাম্প
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মন্তব্য করেছেন, এ দুই দেশ নিজেদের মধ্যকার বিরোধ নিজেরাই সামলাতে সক্ষম। শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) রোমগামী এয়ারফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, ‘ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই উত্তেজনা রয়েছে। তারা নিজেরাই কোনো না কোনো উপায় খুঁজে বের করবে।’
সিন্ধু নদের এক ফোঁটা পানিও পাকিস্তানে যেতে দেওয়া হবে না: ভারত
‘সিন্ধু নদের এক ফোঁটা পানিও যেন না যায়, সেই ব্যবস্থা নিচ্ছে ভারত।’ শুক্রবার মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে এক পোস্টে এমন কথা বলেন দেশটির জলশক্তিমন্ত্রী সি আর পাতিল। খবর দ্য হিন্দুর। গত মঙ্গলবার ভারতনিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় ২৬ জন নিহত হন। পরোক্ষভাবে পাকিস্তান এ হামলায় জড়িত এমন অভিযোগ তুলে বুধবার দেশটির সঙ্গে ১৯৬০ সালের সিন্ধু নদ পানি চুক্তি স্থগিত করার ঘোষণা দেয় ভারত। চুক্তি স্থগিতের সিদ্ধান্তের পর ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনার জন্য শুক্রবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করেন জলশক্তিমন্ত্রী পাতিল। বৈঠক শেষে সংবাদিকদের পাতিল বলেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকে একটি রোডম্যাপ প্রস্তুত করা হয়েছে। বৈঠকে তিনটি অপশন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সরকার স্বল্পকালীন, মধ্যকালীন ও দীর্ঘকালীন ব্যবস্থার ওপর কাজ করছে, যেন পাকিস্তানে এক ফোঁটা পানিও না যায়। শিগগিরই নদীর প্রবাহ বন্ধ করতে ড্রেজিংয়ের কাজ সম্পন্ন হবে এবং প্রবাহ অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে।’
তীব্র নিন্দা, পরিস্থিতি গভীর উদ্বেগের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে: জাতিসংঘ
জাতিসংঘ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার পরিস্থিতির ওপর ‘গভীর মনোযোগ’ দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন সংস্থাটির মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক। গতকাল শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলু। প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘স্পষ্টতই আমরা অত্যন্ত গভীর উদ্বেগের সঙ্গে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।’
মধ্যস্থতার প্রস্তাব সৌদি আরবও ইরানের
পাকিস্তান-ভারত উত্তেজনা নিরসনে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছে ইরান। শুক্রবার ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি এক এক্স পোস্টে এই প্রস্তাব দেন। এক্স পোস্টে আরাগচি লেখেন, ‘ভারত ও পাকিস্তান ইরানের ভ্রাতৃপ্রতিম প্রতিবেশী। আমরা এমন সম্পর্ক উপভোগ করছি, যা কয়েক শতকের পুরোনো সাংস্কৃতিক সভ্যতায় নিহিত। অন্যান্য প্রতিবেশীর মতো তাদেরও আমরা সর্বাগ্রে অগ্রাধিকার হিসেবে বিবেচনা করি।’ আব্বাস আরাগচি বলেন, ‘পরিস্থিতির আরও অবনতি যাতে না হয়, তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা আবারও ভারত ও পাকিস্তান সরকার উভয়কেই সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানাচ্ছি।’ ইরানের পাশাপাশি সৌদি আরবও দুই দেশের উত্তেজনা প্রশমনে উদ্যোগ নিয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুবরাজ ফয়সাল বিন ফরহাদ পৃথকভাবে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের সঙ্গে ফোনালাপ করেছেন।
নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্তে অংশ নিতে প্রস্তুত পাকিস্তান: শাহবাজ শরিফ
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ শনিবার বলেছেন, ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় যেকোনো ‘নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ’ তদন্তে অংশ নিতে প্রস্তুত আছে তার দেশ। এ হামলার ঘটনা নিয়ে প্রতিবেশী দেশ দুটির মধ্যে চলা চরম উত্তেজনার মধ্যে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী এমন মন্তব্য করলেন। পেহেলগামে ২২ এপ্রিল ওই হামলার ঘটনা ঘটে। নিহত ২৬ জনের বেশির ভাগই পর্যটক। ২০০০ সালের পর থেকে হিমালয়ঘেঁষা উপত্যকাটিতে এটাকে সবচেয়ে প্রাণঘাতী সশস্ত্র হামলা বিবেচনা করা হচ্ছে। হামলার দায় স্বীকার করেছে ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ বা টিআরএফ।