মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


চারঘাট (রাজশাহী) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: মার্চ ৭, ২০২৫, ০২:১৫ পিএম

অনুমতি ছাড়া মিনি পাম্পে তেল বিক্রি, বাড়ছে ঝুঁকি

চারঘাট (রাজশাহী) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: মার্চ ৭, ২০২৫, ০২:১৫ পিএম

অনুমতি ছাড়া মিনি পাম্পে তেল বিক্রি, বাড়ছে  ঝুঁকি

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

রাজশাহীর বাঘা ও চারঘাটে অনুমতি ছাড়া রাস্তার পাশে মিনি পাম্পে তেল বিক্রি হচ্ছে। ছোট ছোট দোকানে কিংবা আবাসিক ভবনের নিচে ফিলিং স্টেশনের মতো ডিসপেনসার মেশিন বসিয়ে বিক্রি হচ্ছে ডিজেল, পেট্রোল, অকটেন। এগুলোর নেই কোনো ডিলারশিপ বা কর্তৃপক্ষের অনুমোদন। এসব পাম্পে অবৈধ উপায়ে ভেজাল তেল সরবরাহে নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়ছে।

এদিকে যত্রতত্র গড়ে ওঠা এসব মিনি তেলের পাম্পে মাঝে মধ্যেই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। বাঘা উপজেলার মনিগ্রাম বাজারের পাম্পে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চেয়ারম্যান, ফায়ার সার্ভিসের কর্মী, পুলিশ, সাংবাদিকসহ ৩০ জন আহত হন। এর আগে চারঘাটের নন্দনগাছী বাজারের তেল দোকানে অগ্নিকাণ্ডে চারজন গুরুতর আহত হয়। আগুন আশপাশের দোকানে ছড়িয়ে পড়লে কয়েক লাখ টাকার ক্ষতি হয়।

সরেজমিন দেখা যায়, বাঘা উপজেলার রুস্তমপুর বাজারে আবাসিক এলাকায় দোতলা ভবনের নিচে ও টিনশেড ঘরে পাশাপাশি দুটি মিনি তেল পাম্প গড়ে তোলা হয়েছে। সেখানে ডিসপেনসার মেশিন বসিয়ে ডিজেল, পেট্রোল, অকটেন বিক্রি করা হচ্ছে।

একই চিত্র দেখা গেছে, চারঘাটের ফরিদপুর মোড়, নওদাপাড়া বাজার ও নন্দনগাছী বাজারেও। এসব মিনি পাম্পে শত শত তেলের ব্যারেল স্তূপ করে রাখতে দেখা গেছে। এ দুই উপজেলায় এ ধরনের অন্তত ২৫টি মিনি পাম্প গড়ে উঠেছে। আরও কয়েকটি দোকানে মেশিন বসিয়ে চালুর অপেক্ষায়।

প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মী টাকার বিনিময়ে ভুয়া কাগজপত্র সরবরাহ করে ব্যবসায়ীদের এ ধরনের পাম্প তৈরিতে সহায়তা করছেন। প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে ভয়াবহ অগ্নি ঝুঁকি তৈরি হবে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) চারঘাট উপজেলার সভাপতি সাইফুল ইসলাম।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাঘা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান ও চারঘাট ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা মো. খাইরুল ইসলাম বলেন, মিনি তেল পাম্প স্থাপনে কাউকে লাইসেন্স দেওয়া হয়নি। এভাবে তেল পাম্প স্থাপন ভয়ংকর ঝুঁকিপূর্ণ। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।

পরিবেশ অধিদপ্তর রাজশাহীর সহকারী পরিচালক কবির হোসেন বলেন, ‘মিনি তেল পাম্প স্থাপনে আমাদের দপ্তর থেকে কাউকে অনুমতি দেওয়া হয়নি। অবৈধ পাম্প পরিদর্শন করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিস্ফোরক পরিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) ও পরিবেশ অধিদপ্তরের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন, এ ধরনের ব্যবস্থাপনায় তেল বিক্রির কোনো অনুমতি কাউকে দেওয়া হয়নি।

চারঘাটের ফরিদপুর মোড়ের মিনি তেল পাম্পের মালিক সোহানুর রহমান বলেন, বিস্ফোরক অধিদপ্তরে আবেদন করেছি। এখনও অনুমোদন পাইনি। ফায়ার সার্ভিসের অনুমোদন নিয়ে পাম্প চালু করেছি। তেল বিক্রির কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি তিনি।

বাঘার রুস্তমপুর বাজারের দুই মিনি তেল পাম্পের মালিক রবিউল আলম বাবু ও মজনু হোসেন জানান, স্থানীয় জাহিদ তুহিন নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসে চাকরি করেন। তার মাধ্যমে লাইসেন্স নিয়ে তেল পাম্প করেছেন।

জানতে চাইলে মো. জাহিদ তুহিন বলেন, ‘শুনছি আপনারা তেল পাম্পের লাইসেন্স খুঁজছেন। সাংবাদিকদের লাইসেন্স খোঁজার কি প্রয়োজন? তারা কি আপনার টাকায় ব্যবসা করছে? আপনার এতে মাথাব্যথা কেন? লাইসেন্স অফিস দিয়েছে, অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স রাজশাহীর ওয়্যারহাউস ইন্সপেক্টর সরোয়ার হোসাইন বলেন, খোঁজখবর নিয়ে সত্যতা পেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরবি/এসআর

Link copied!