বুধবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: মার্চ ৮, ২০২৫, ০৫:২৯ পিএম

সালিশ হলেও ধর্ষণের বিচার পায়নি কিশোরী, অতঃপর...

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: মার্চ ৮, ২০২৫, ০৫:২৯ পিএম

সালিশ হলেও ধর্ষণের বিচার পায়নি কিশোরী, অতঃপর...

ফাইল ছবি

লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে রাকিব হোসেন নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে প্রেমিকাকে (১৬) ঘরে একা পেয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর সালিশি বৈঠক হলেও বিচার না পাওয়ায় মানসিক চাপে কিশোরী আত্মহত্যা করেছে। এ ঘটনায় ১২ জনের বিরুদ্ধে কিশোরীর মা বাদী হয়ে মামলা করলে একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শনিবার (৮ মার্চ) বিকেল পর্যন্ত বাকি অভিযুক্তদের কাউকেই গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

এর আগে ১ মার্চ কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়। পরদিন ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকায় সালিশি বৈঠকের আয়োজন করে। কিন্তু সেখানে কোনো বিচার পায়নি কিশোরী। উল্টো তাকে অপবাদ দেওয়া হয় বলে জানা যায়। বৃহস্পতিবার সকালে কিশোরীকে বাড়িতে রেখে তার মা বাড়ির পাশের জমিতে ফসল দেখতে যায়। তখন মো. হেলাল নামে একজন বাড়িতে ঢুকে কিশোরীসহ তার মাকে চুল কেটে এলাকায় ঘুরানোর হুমকি দেয়। এতে মানসিক চাপে দুপুরে সে আত্মহত্যা করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে। 

এদিকে শুক্রবার (৭ মার্চ) ভিকটিমের মা বাদী হয়ে রামগতি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে রাকিবসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। এতে হেলালকে গ্রেপ্তার করে লক্ষ্মীপুর আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠায় পুলিশ।

প্রধান অভিযুক্ত রাকিব পশ্চিম চরকলাকোপা গ্রামের খবির উদ্দিনের ছেলে। অভিযুক্ত অন্যরা হলেন মো. আজাদ, জামশেদ উদ্দিন ও মো. বাশারসহ ১০ জন। তার পশ্চিম চরকলাকোপা গ্রামের বাসিন্দা।

মামলা সূত্র জানায়, অভিযুক্ত রাকিবের সঙ্গে প্রায় ৭ মাস ধরে কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। এতে ১ মার্চ রাতে ঘরে ঢুকে কিশোরীকে রাকিব ধর্ষণ করে। ঘটনাটি কিশোরীর মা টের পেয়ে ঘরে ঢুকলে রাকিব পালিয়ে যায়। তাৎক্ষণিক ঘটনাটি ভুক্তভোগী পরিবার রাকিবের বাবা-মাকে জানায়। এতে তারা কাউকে কিছু জানাতে নিষেধ করে। কিন্তু পরদিন ঘটনাটি জানাজানি হয়ে যায়। এতে মামলায় অভিযুক্তরাসহ একটি সালিশি বৈঠকের আয়োজন করে। বৈঠকে ধর্ষণের ঘটনায় কোনো বিচার করা হয়নি। উল্টো কয়েকজন কিশোরীকে অপবাদ দেয়। এর মধ্যে গত বৃহস্পতিবার মামলায় গ্রেপ্তার হেলাল বাড়িতে ঢুকে কিশোরীসহ তার মাকে চুল কেটে গ্রামে ঘুরানোর হুমকি দেয়। এটি সহ্য করতে না পেরে কিশোরী আত্মহত্যা করে।

রামগতি থানার ওসি মো. কবির হোসেন বলেন, ভিকটিমের মা থানায় মামলা করেছেন। অভিযুক্তদের মধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্যদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে। 

আরবি/এস

Link copied!