বুধবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


ময়মনসিংহ ব্যুরো

প্রকাশিত: মার্চ ১৩, ২০২৫, ০৭:১৯ পিএম

প্যারোলে মুক্তি, বাড়ি গিয়ে দেখেন বাবার জানাজা শেষ

ময়মনসিংহ ব্যুরো

প্রকাশিত: মার্চ ১৩, ২০২৫, ০৭:১৯ পিএম

প্যারোলে মুক্তি, বাড়ি গিয়ে দেখেন বাবার জানাজা শেষ

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে মৃত বাবাকে দেখতে সাড়ে তিন ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি পান। তবে, প্যারোলে মুক্তি পেয়ে বাবার জানাজায় অংশ নিতে পারেননি ইউনিয়নের যুবলীগের সদস্য সোহাগ মিয়া। কিন্তু বাড়িতে পৌঁছার আগেই জানাজা সম্পন্ন হয়ে যায়। তবে শেষবারের মতো বাবাকে একনজর দেখতে পারেন তিনি।

যুবলীগ নেতা সোহাগ নিয়া উপজেলার রাজিবপুর ইউনিয়নের যুবলীগের সদস্য। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারে ছিলেন। সোহাগ রাজিবপুর ইউনিয়নের মাইজহাটি গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে।

গতকাল বুধবার সকাল সাতটায় নিজ বাড়িতে মারা যান আবু বক্কর সিদ্দিক (৫৩)। এরপর সোহাগ মিয়া যেন বাবার জানাজায় অংশ নিতে পারেন, সে জন্য প্যারোলে মুক্তির আবেদন করেন তাঁর মা ফজিলা খাতুন।

ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলমের কাছে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিকেল পাঁচটা থেকে রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয় সোহাগকে। বিকেল পাঁচটায় ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পুলিশি তত্ত্বাবধানে সোহাগকে বের করা হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় সোহাগ বাড়িতে পৌঁছান।

এদিকে, বিকেল সোয়া পাঁচটায় নির্ধারিত সময়ে শাহগঞ্জ বাজারসংলগ্ন ঈদগাহ মাঠে জানাজা হয় আবু বক্কর সিদ্দিকের। জানাজায় অংশ নিতে পারেননি সোহাগ। পরে লাশ নিয়ে বাড়ির আঙিনায় অপেক্ষা করতে থাকেন স্বজনেরা। সোহাগ পুলিশি নিরাপত্তায় বাবার লাশের কাছে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। এ সময় আশপাশের মানুষ ভিড় শুরু করলে পুলিশ সদস্যরা সোহাগ মিয়াকে সেখান থেকে সরিয়ে নেন। রাত রাত সাতটার দিকে দাফন করা হয় আবু বকর সিদ্দিককে।

সোহাগ মিয়াকে প্যারোলে বের করার প্রক্রিয়ায় পরিবারকে সহযোগিতা করেন স্থানীয় বাসিন্দা জনি দে। তিনি বলেন, সোহাগকে বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা একটি মামলায় সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। সোহাগের ভাই শারীরিক প্রতিবন্ধী। প্যারোলে মুক্তি পেতে আমি সহযোগিতা করেছি। কাগজপত্র প্রস্তুত করতে সময় লেগে যায়। বিকেল পাঁচটায় সোহাগকে কারাগার থেকে বের করে বাড়িতে নিয়ে যায় পুলিশ। মৃত বাবাকে শেষবারের মতো দেখলেও জানাজায় অংশ নিতে পারেনি সোহাগ।

রাজিবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য মুসলিম উদ্দিন বলেন, জানাজার সময় পূর্বনির্ধারিত ছিল এবং লোকজনও চলে আসে। আমরা খবর নিয়ে জানতে পারি সোহাগের পৌঁছাতে সন্ধ্যার পার হয়ে যাবে। রোজার দিন; পরে জানাজায় লোক পাওয়া যাবে না। এ কারণে নির্ধারিত সময়ে জানাজা সম্পন্ন করা হয়।

আরবি/আবু

Link copied!