বুধবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


মুক্তাগাছা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: এপ্রিল ১, ২০২৫, ০৭:৪০ পিএম

বেড়াতে নিয়ে গিয়ে শিশুকে ধর্ষণ, অভিযুক্তের বাড়িতে আগুন

মুক্তাগাছা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: এপ্রিল ১, ২০২৫, ০৭:৪০ পিএম

বেড়াতে নিয়ে গিয়ে শিশুকে ধর্ষণ, অভিযুক্তের বাড়িতে আগুন

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে নিয়ে গিয়ে ৯ বছরের এক শিশুকে রাতভর ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ আহত ভিকটিমকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।

এ ঘটনায় উত্তেজিত এলাকাবাসী অভিযুক্ত ধর্ষকের বাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন দিয়েছে। এছাড়া ধর্ষককে পালিয়ে যেতে সহায়তা করায় মজিদ নামের এক সহযোগীকে উত্তেজিত জনতা মারধর করে।

এ সময় মজিদের বাড়ি ও তার ভাই আতিকের দোকানে ভাঙচুর করে। পুলিশ আসামি পালিয়ে যেতে সহযোগিতার অভিযোগে মজিদকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার নামামহিষতারা গ্রামে। অভিযুক্ত ধর্ষকের নাম মো. দুলাল (৩০)।

পুলিশ ও ভিকটিমের পরিবার জানায়, নামামহিষতারা গ্রামের মন্নেছর আলীর পুত্র মো. দুলাল তার পাশের বাড়ির ৯ বছর বয়সি শিশু মেয়েকে ঈদের দিন বিকেলে শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে নিয়ে যাবার কথা বলে নিজের মেয়েসহ ওই শিশুকে নিয়ে ঈদের দিন (৩১ মার্চ) সোমবার বিকেলে বটতলা গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে যায়।

পরে নিজের মেয়েকে শ্বশুরবাড়িতে রেখে ওই শিশুকে অন্যত্র নিয়ে গিয়ে রাতভর ধর্ষণ করে। ঘটনার পরদিন মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) সকালে ওই শিশুকে একটি ভ্যানে করে অসুস্থ অবস্থায় তার বাড়িতে পৌঁছে দেয়। পরে এ ঘটনা ওই শিশুটি অসুস্থ অবস্থায় পরিবারকে জানায়।

এ সময় পরিবারের লোকজন দুলালকে আটক করতে গেলে স্থানীয় মজিদ দুলালকে ভাগিয়ে দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠায়।

এ ঘটনায় এলাকার উত্তেজিত জনতা একত্র হয়ে ধর্ষকের বাড়ি ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয়। পরে জনতা আসামিকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করার অভিযোগে আব্দুল মজিদকে মারধর করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। এছাড়া মজিদের দোকান ও বাড়িও ভাঙচুর করে।

ভিকটিমের বড় বোন জানান, ‘দুলাল ঈদের দিন বিকেলে তার নিজের মেয়েকেসহ আমার শিশু বোনকে নিয়ে তার শ্বশুরবাড়ি বটতলায় যায়। পরে সারারাত আমরা আমাদের বোনের কোনো সন্ধান পাইনি।

মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) সকালে দুলাল আমার বোনকে নিয়ে আসে। তখন আমরা দেখি আমাদের বোন খুবই অসুস্থ। পরে সে জানায় দুলাল তাকে ধর্ষণ করেছে।

এ সময় আমার ভাইয়েরা দুলালকে ধরতে গেলে আতিক আর মজিদ দুলালকে সরিয়ে দেয়। বিষয়টি দেখছি বলে মজিদ আমার ভাইদের উল্টো সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। পরে পুলিশকে খবর দিয়ে পুলিশ এসে মজিদকে ধরে নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে মুক্তাগাছা থানার ওসি রিপন চন্দ্র গোপ জানান, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছে মূল অভিযুক্তকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করায় মজিদ নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। ভিকটিম শিশুটিকে চিকিৎসা ও মেডিকেল পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মূল অভিযুক্ত দুলাল পালিয়েছে। তাকে ধরাসহ অন্যান্য আইনি প্রক্রিয়া চলমান।

আরবি/জেডি

Link copied!