মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


জালালউদ্দিন সাগর, চট্টগ্রাম

প্রকাশিত: এপ্রিল ৫, ২০২৫, ০১:২১ পিএম

প্রেমাও চির ঘুমে, লোহাগাড়া দুর্ঘটনায় পুরো পরিবার শেষ

জালালউদ্দিন সাগর, চট্টগ্রাম

প্রকাশিত: এপ্রিল ৫, ২০২৫, ০১:২১ পিএম

প্রেমাও চির ঘুমে, লোহাগাড়া দুর্ঘটনায় পুরো পরিবার শেষ

ফাইল ছবি

দুই দিন মৃত্যুর সাথে লড়াই করে অবশেষে বাবা-মা, বোনদের পথেই ওপাড়ে পাড়ি জমালেন তাসনিয়া ইসলাম প্রেমা। নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) বিছানায় শুয়ে শুয়ে হয়তো বাবা-মা, বোনদের সাথেই বোঝাপড়া করছিলেন মান-অভিমানের।

বলছিলেন, তোমরা যেহেতু চলে গেছ, এই নিষ্ঠুর পৃথিবীতে আমি একা থেকে কি করব বলো? তোমাদের ছাড়া একা একা বাঁচব কী করে! কী করে ভুলব বিভীষিকাময় এই মৃত্যু যন্ত্রণা! প্রেমার মৃত্যু যন্ত্রণার এই আকুতি ছুঁয়েছিলেন সৃষ্টিকর্তাকেও। তাই তো সব যন্ত্রণা থেকে মুক্ত করে বাবা-মা, বোনদের মতো অসীমের পথে নিয়ে গেলেন তাকেও।  

৪ এপ্রিল, শুক্রবার মধ্য দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান লোহাগাড়ার চুনতিতে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা বেঁচে যাওয়া তাসনিয়া ইসলাম প্রেমা (১৮)। ওই দুর্ঘটনায় গত ২ এপ্রিল বুধবার ঘটনাস্থলেই মারা যান প্রেমার বাবা রফিকুল ইসলাম, মা লুৎফুন নাহার আর দুই বোন আফজারা ইসলাম আনিশা ও এরিনা ইসলাম। 

প্রেমা ছিলেন সেই পরিবারের বেঁচে থাকা একমাত্র সদস্য। তার চলে যাওয়ার মধ্য দিয়ে এই পৃথিবী থেকে পুরোপুরি নিভে গেল রফিকুল ইসলাম পরিবারের শেষ প্রদীপ। একই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন স্বজন তানিফা ইয়াসমিনও।

তাসনিয়া ইসলাম প্রেমার নিহতের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন চমেক হাসপাতালে থাকা প্রেমার ছোট মামা রবিউল হাসান সুজন।

তিনি বলেন, প্রেমার চলে যাওয়ার মধ্য দিয়ে আমার বোনের শেষ প্রদীপটিও নিলে গেল। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, পোস্টমর্টেম ছাড়াই আমার ভাগনীকে দাফনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ইতোমধ্যে লোকাল পুলিশের অনুমতি পাওয়া গেছে, হাইওয়ে পুলিশের অনুমোতি পেলেই আমরা মরদেহ নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিব।

রবিউল হাসান সুজন আরও বলেন, গতকালই আমার বোন-দুলাইভাই আর দুই ভাগনীর লাশ দাফন করলাম। আজকে প্রেমাকে দাফন করার জন্য কবর খোঁড়া হচ্ছে। একটি দুর্ঘটনায় পুরো একটি পরিবার পৃথিবীতে থেকে হারিয়ে গেল। 

জানা গেছে, ঈদের ছুটিতে কক্সবাজারের সমুদ্র দেখতে ঘর থেকে বের হয়েছিলেন ঢাকার মিরপুরের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম ও তার পরিবার এবং তাদের সাথে ছিলেন ঝিনাইদহের দিলীপ বিশ্বাসের পরিবার। দুই পরিবারের সদস্যরা মিলে একটি মাইক্রোবাসে করে যাচ্ছিলেন সমুদ্রবিলাসে। কিন্তু চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের লোহাগাড়ার চুনতি-জাঙ্গালিয়া এলাকায় মর্মান্তিক এক দুর্ঘটনায় থেমে যায় আনন্দযাত্রা।

নিহত রফিকুল ইসলাম ঢাকায় একটি পোশাক কারখানার কর্মকর্তা ছিলেন। বাড়ি পিরোজপুরে। তিনি ঢাকায় মা ও পরিবার নিয়ে থাকতেন। ঈদের ছুটিতে রফিকুল ইসলাম নিজের পরিবার, সহকর্মী দিলীপ বিশ্বাসের পরিবারসহ কক্সবাজারে বেড়াতে যাচ্ছিলেন। 

আরবি/আবু

Link copied!