মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বরগুনা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: এপ্রিল ৫, ২০২৫, ০৩:৩৩ পিএম

তরমুজ দেয়ার কথা বলে ধর্ষণ চেষ্টা

বরগুনা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: এপ্রিল ৫, ২০২৫, ০৩:৩৩ পিএম

তরমুজ দেয়ার কথা বলে ধর্ষণ চেষ্টা

ফাইল ছবি

তরমুজ দেয়ার কথা বলে সপ্তম শ্রেনীর স্কুল ছাত্রীকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত ঐ ধর্ষকের নাম নাসির হাওলাদার। নাসিরের বাড়ী নারায়নগঞ্জে। তৃতীয় বিয়ের সুবাদে সে বরগুনার তালতলী উপজেলার ছোটবগী ইউনিয়নের পশ্চিম গাবতলী গ্রামে বসবাস করে এই অপকর্মে জড়িত রয়েছে।

প্রভাবশালীদের ভয়ে এ ঘটনা আইনী ব্যবস্থা নিতে সাহস পাচ্ছে না ভুক্তভোগী পরিবার। তারা পুলিশ প্রসাশনের কাছে আইনী সহায়তা দাবী করেছেন। ঘটনা ঘটেছে তালতলী উপজেলার পশ্চিম গাবতলী গ্রামে বৃহস্পতিবার সকালে।

জানাগেছে, উপজেলার পশ্চিম গাবতলী গ্রামের সপ্তম শ্রেনীতে পড়ুয়া স্কুল ছাত্রীকে তরমুজ চাষী ও ব্যবসায়ী নাসির হাওলাদার তরমুজ দেওয়ার কথা বলে ডেকে ঘরে নিয়ে যায়। ওই সময় ঘরে তার পরিবারের কেউ ছিল না। এ সুযোগে স্কুল ছাত্রীকে ঘরের ডেকে নিয়ে কাপড় চোপড় ছিড়ে ধর্ষণ চেষ্টা চালায়। কিন্তু স্কুল ছাত্রী ওই লম্পটের হাতে কামড়ে দিয়ে পালিয়ে আসে। 

সেখান থেকে পালিয়ে এসে বিষয়টি কি শিশুটির মাকে জানান। ঘটনা জানাজানি হয়ে হয়ে গেলে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য স্থানীয় প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করে ভুক্তভোগী পরিবারকে আইনী ব্যবস্থা না নিতে চাপ প্রয়োগ করেছেন। তারা প্রভাবশালীদের ভয়ে আইনী ব্যবস্থা নিতে সাহস পাচ্ছে না। ভুক্তভোগী পরিবার আইনী সহায়তার জন্য প্রশাসনের সহায়তা চাচ্ছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, চরিত্রহীন লম্পট নাসির বিভিন্ন সময় নারীদের কুপ্রস্তাব দিয়েছেন। ওর পিছনে রাঘব বোয়ালরা রয়েছে। তারা চায়না মেয়েটি বিচার পাক। আমরা ওই লম্পট এর কঠিন বিচার চাই।

স্কুল ছাত্রী বলেন, তরমুজ দেয়ার কথা বলে নাসির হাওলাদার আমাকে ঘরে ডেকে নেয়। আমি ঘরে ওঠা মাত্রই তিনি আমাকে ঝাপটে ধরে এবং আমার পরিধানের কাপড় চোপর ছিড়ে ফেলে। আমি ডাক চিৎকার দিলে তিনি আমাকে ছেড়ে দেয়। আমি ওই নাসির হাওলাদার শাস্তি দাবী করছি।

স্কুল ছাত্রীর মা অভিযোগকরে বলেন, ঘটনার পরপরই আমাকে স্থানীয় প্রভাবশালীরা আইনী ব্যবস্থা নিতে দেয়নি। তারা শালিস ব্যবস্থার নামে আমাকে হয়রানী করছি। আমি পুলিশ প্রশাসনের কাছে আইনী সহায়তা দাবী করছি। তিনি আরো বলেন, প্রভাবশালীদের চাপে আমি থানায় অভিযোগ দিতে সাহস পাচ্ছি না। নাসির হাওলাদার আমার মেয়ের সর্বনাশ করেছে।  আমি নাসির হাওলাদারের কঠিন শাস্তি দাবী করছি।

তালতলী থানার ওসি মোহাম্মদ শাহজালাল বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। অভিযুক্ত নাসিরকে গ্রেপ্তার করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। 

আরবি/আবু

Link copied!