বুধবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


চৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: এপ্রিল ৬, ২০২৫, ০৯:২৭ পিএম

বছরের পর বছর বেতন ছাড়া শতাধিক গ্রাম পুলিশ

চৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: এপ্রিল ৬, ২০২৫, ০৯:২৭ পিএম

বছরের পর বছর বেতন ছাড়া শতাধিক গ্রাম পুলিশ

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

যশোরের চৌগাছা উপজেলায় ১০৮ জন গ্রাম পুলিশ সদস্য ৫২ মাস ধরে থানা হাজিরা বাবদ তাদের প্রাপ্য ভাতা থেকে বঞ্চিত। প্রায় ৭০ লাখ টাকা বকেয়া পড়ে থাকলেও মিলছে না কোনো সমাধান। প্রশাসনের নানা দপ্তরে ঘুরেও মেলেনি প্রতিকার, এতে মানবেতর জীবনযাপন করছেন গ্রাম পুলিশরা।

উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে কর্মরত এসব গ্রাম পুলিশ সদস্যরা প্রতিমাসে ৬ হাজার ৬০০ টাকা করে বেতন-ভাতা পাওয়ার কথা থাকলেও, সপ্তাহে একদিন থানায় হাজিরার জন্য নির্ধারিত ভাতা বছরের পর বছর ধরে অনাদায়ী। ২০১৮ সালের আগস্ট থেকে ২০২২ সালের নভেম্বর পর্যন্ত থানা হাজিরা বাবদ ৫২ মাসের ভাতা এখনো বকেয়া রয়েছে।

সুখপুুকুরিয়া ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ জেসমিন নাহার বলেন, “সংসার চালাতে স্বামীর আয়ে কুলিয়ে উঠতে না পেরে গ্রাম পুলিশে যোগ দিয়েছি। প্রতিদিন দায়িত্ব পালন করলেও ৫২ মাসের হাজিরা ভাতা এখনো পাইনি।”

একই কষ্টের কথা জানিয়েছেন সিংহঝুলি ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ হামিদা খাতুন। তিনি বলেন, “বকেয়া টাকা না পাওয়ায় সন্তানদের ঠিকমতো পড়াতে পারছি না। সংসারে চরম সংকটে আছি।”

সিংহঝুলি ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ সদস্য আসাদুল ইসলাম ও মিলন হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “নতুন সরকার দায়িত্ব নিলেও আমাদের বকেয়া পরিশোধ হয়নি। ভেবেছিলাম অন্তত ঈদের আগে কিছু পাব, সেটাও হলো না।”

উপজেলা গ্রাম পুলিশ সমিতির সভাপতি রেজাউল ইসলাম জানান, “ইউনিয়ন পরিষদের দলিল রেজিস্ট্রেশনের ১% খরচ থেকে এই ভাতা দেয়ার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু ২০১৮ সালের আগস্ট থেকে এই ভাতা বন্ধ রাখা হয়। বর্তমানে আবার চালু হলেও পূর্বের বকেয়া আজও পরিশোধ হয়নি।” তিনি আরও অভিযোগ করেন, “জেলার অন্যান্য উপজেলায় গ্রাম পুলিশরা বিনোদন ভাতা পেলেও চৌগাছায় তা দেওয়া হয় না।”

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের অফিস সহকারী জামির হোসেন জানান, “আমি ২০২২ সালের মে মাসে দায়িত্ব নিই। তখন থেকে কোনো বকেয়া পড়েনি।”

তবে পূর্বের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খাজা আহমদ বলেন, “স্থানীয় রাজস্ব আয়ের অভাবে সে সময় হাজিরার টাকা দেয়া সম্ভব হয়নি, তাই বকেয়া পড়ে রয়েছে।”

চৌগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা ইসলাম বলেন, “আমি নতুন দায়িত্ব পেয়েছি। কার কত বকেয়া রয়েছে তা এখনও জানি না। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

আরবি/জেডআর

Link copied!