মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: এপ্রিল ১১, ২০২৫, ০২:৫৪ পিএম

চাঁপাইনবাবগঞ্জে কাঙ্খিত বৃষ্টি, আমের আশীর্বাদ

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: এপ্রিল ১১, ২০২৫, ০২:৫৪ পিএম

চাঁপাইনবাবগঞ্জে কাঙ্খিত বৃষ্টি, আমের আশীর্বাদ

ছবি : রূপালী বাংলাদেশ

আমের রাজ্য চাঁপাইনবাবগঞ্জে শুরু হয়েছে আমের নতুন মৌসুম। বেড়ে উঠছে গুটি। গাছ পরিচর্যা চলছে জোরেশোরে। গত সেপ্টেম্বর মাসের পর জেলায় দীর্ঘদিন উল্লেখযোগ্য বৃষ্টিপাত না হওয়ায় অর্থাৎ প্রায় অনাবৃষ্টির পর মঙ্গলবার (০৮ এপ্রিল) মধ্যরাত থেকে ভোররাত পর্যন্ত থেমে থেমে কখনও হালকা আবার কখনও মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়েছে।

জেলার দুই বৃহত্তম উপজেলা সদর ও শিবগঞ্জে গড়ে ৫ মি.মি. করে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে কৃষি বিভাগ।

জেলার অন্য তিন উপজেলা গোমস্তাপুর, নাচোল ও ভোলাহাটে সামান্য বৃষ্টি হয়েছে। বজ্রসহ বৃষ্টি হলেও ঝড় বা শিলাবৃষ্টি না হওয়ায় কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছেন দিনে চৈত্র্যর তীব্র ক্ষরাক্রান্ত জেলাবাসী ও কৃষকরা।

এদিকে, পরিবর্তিত আবহাওয়ায় ফাল্গুণের পর চৈত্র মাসের প্রথম ৩ সপ্তাহ পর্যন্ত রাতে, ভোরে ও সকালে শীতল আবহাওয়া বিরাজ করেছে। ভোওে কখনও পড়ে কুয়াশা। এমতাবস্থায় বৃষ্টিতে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। তাঁরা আশা করছেন আবহাওয়ার এই অবস্থা এখন কেটে যাবে। বাম্পার ফলন হবে আমের । 

জেলা কৃষি বিভাগ সূত্র জানায়, জেলায় ৩৭ হাজার ৫০৪ হেক্টর জমির ৮১ লক্ষ ৪৫ হাজার ৪০টি আমগাছের ৯২ শতাংশে মুকুল আসার পর গুটি বেশ বড় হয়েছে।

আমের জন্য চলতি মৌসুমের আবহাওয়া শুরু থেকেই যথেষ্ট অনুকুল বলছেন সংশ্লিষ্ট সকলেই। মৌসুমে শীতের তীব্রতা কম থাকায় বেশিরভাগ মুকুল এসেছে আগাম ও সময়মত।

চলতি মৌসুমের ডিসেম্বরে জেলার সর্বনিম্ন গড় তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রী সেলসিয়াস হলেও জানয়ারী থেকে তা ক্রমাগত বেড়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।

তারা আরও জানায়, চলতি বছর হেক্টর প্রতি ১০.৩ মেট্রিক টন হিসেবে ৩ লক্ষ ৮৬ হাজার ২৯০ টন আম উৎপাদনের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে সংশ্লিষ্ট অনেকেই আরও বেশী উৎপাদনের ব্যাপারে আশাবাদী।

গত মৌসুমে উৎপাদনের লক্ষমাত্রা ছিল সাড়ে ৩ লক্ষ টন ও উৎপাদন হয় ৩ লক্ষ ৪৮ হাজার ২৭৮ টন। গত মৌসুমে ৭৩ থেকে ৭৫ শতাংশ গাছে মুকুল এসেছিল। গত বছর ২০২৪ সালে ১৩৩ টন আম রপ্তানী হয়েছে মূলত: ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যে। এর আগের বছর ২০২৩ সালে হয়েছিল ৩৭৬ টন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. ইয়াছিন আলী জানান, হালকা বৃষ্টি হলেও এ সময় তা আম-ধানসহ সকল ফসলের জন্য উপকার বয়ে আনবে। আপাতত৷ আম চাষে বড় সমস্যা নেই। 

আমচাষী ও রফতানিকারক ইসমাইল খান শামীম বলেন, গুটি ঝরার মুখে বৃষ্টির পর কয়েকদিন আর কোনও ফসলে কোনরুপ বালাইনাশক দিতে হবে না।

আমের বোঁটা শক্ত হবে। আম ঝরা কমে যাবে। আম বৃদ্ধির হার বাড়বে। আকার-আকৃতি ভাল হবে। প্রকৃতির ক্ষতিকারক পোকামাকড় আক্রমন কমে আসবে।

তবে গাছের গোড়ায় সেচের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলে জানান তিনি।

কৃষক শফিকুল ইসলাম জানান, চলতি মৌসুমে ব্যাপক মুকুল আসলেও বৃষ্টি না থাকায় ও খরার কারনে ঝরে পড়েছে ব্যাপক।

এমন অবস্থায় এই বৃষ্টি অনেক কাজে দিবে। আমের গুটির দ্রুত বৃদ্ধি ঘটবে। ঝরে পড়া রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এই বৃষ্টি৷

আরবি/ আবু

Link copied!