রাজশাহীতে ভাই ও বোনকে শাবল দিয়ে কুপিয়ে হত্যার দায়ে যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজশাহীর অতিরিক্ত মহানগর জজ আদালত-১-এর বিচারক আবুল কালাম আজাদ এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি তরিকুল ইসলাম (৫২)। তিনি নগরের কাদিরগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা। ২০১৫ সালের ৬ এপ্রিল জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে তিনি তার ভাই সাদেকুল ইসলাম ও বোন আক্তারা জাহান কল্পনাকে শাবলের আঘাতে হত্যা করেন।
এ ছাড়া আরও চারজনকে কুপিয়ে আহত করেন। পরে স্থানীয়রা তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।
এ ঘটনায় নিহত সাদেকুল ইসলামের ছেলে ইউসুফ আলী সিজার বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত চাঞ্চল্যকর এই মামলার রায় ঘোষণা করেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শামীম আহমেদ। আসামি তরিকুল ইসলামের পক্ষে কোনো আইনজীবী নিযুক্ত ছিলেন না। তাই রাষ্ট্রই তার পক্ষে একজন আইনজীবী নিযুক্ত করেন।
তার পক্ষে লড়েছিলেন আইনজীবী মাহমুদুর রহমান রুমন।
তিনি বলেন, ‘আসামি যেহেতু পরিবারের দুই সদস্যকে হত্যা করে, তাই পরিবারের পক্ষ থেকে তার জন্য আইনজীবী নিয়োগ করা হয়নি। রাষ্ট্রই আমাকে তার পক্ষে নিযুক্ত করেন।’
রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে মাহমুদুর রহমান রুমন বলেন, ‘আসামি খুন করেছেন, এটি ঠিক। কিন্তু তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন। মানসিক ভারসাম্যহীন আসামিকে যেভাবে বিবেচনা করা দরকার ছিল, তা করা হয়নি। অন্য আসামির মতোই তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরও জানান, ঘটনার পর থেকেই রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন আসামি তরিকুল ইসলাম। রায় ঘোষণার জন্য তাকে আদালতে হাজির করা হয়েছিল। রায় ঘোষণার পর তাকে আবারও কারাগারে পাঠানো হয়।