লালমনিরহাটে কালবৈশাখী ঝড়ে উড়ে গেছে কয়েকশ ঘরবাড়ি ও গাছপালা। জেলার পাঁচটি উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় ঝোড়ো হাওয়ায় ঘরবাড়ির পাশাপাশি ফসলেরও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এর ফলে ওইসব এলাকায় প্রায় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাত পৌনে ১০টার দিকে জেলার সদর, আদীতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৩০ মিনিট এ ঝড়ের তাণ্ডব চলে।
জানা যায়, এই ঝড়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে জেলার হাতীবান্ধা উপজেলায়। ওই উপজেলার সিন্দুর্ণা, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের শতাধিক বসতবাড়ি ঝড়ে ভেঙে লন্ডভন্ড হয়ে যায়। এ ছাড়া বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ তিস্তা তীরবর্তী ওইসব এলাকার উঠতি হাজার হাজার বিঘা জমির ভুট্টা ও ধানখেত নষ্ট হয়ে গেছে।
হাতীবান্ধা উপজেলার পারুলিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের চারটি ক্লাসরুম লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। এতে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১০ লাখ টাকা হবে বলে জানিয়েছেন ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
সরকারি ও বেসরকারিভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখন পর্যন্ত নির্ধারণ করা না হলেও ধারণা করা হচ্ছে ক্ষতির পরিমাণ কয়েক কোটি টাকা ছড়িয়ে যাবে।
পারুলিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের সিনিয়র শিক্ষক শহিদুল ইসলাম জানান, এবারের কালবৈশাখী ঝড়ে মানুষের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বসতবাড়ি লন্ডভন্ডসহ ভুট্টা ও ইরি বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
হাতীবান্ধা উপজেলা কৃষি বিভাগ জানান, সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠে জরিপ করছেন। জরিপ শেষেই জানা যাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ।
হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম মিঞা জানায়, আমার কাছে প্রাথমিকভাবে যে তথ্য এসেছে সেই তথ্য অনুযায়ী শতাধিক বসতবাড়ির ক্ষতিসহ বেশ কিছু ফসলের ক্ষেত নষ্ট হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর তালিকা তৈরি করে জেলা প্রশাসকের কাছে প্রেরণ করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :