ঢাকাগামী যাত্রীদের জন্য লালমনিরহাট-বুড়িমারী রুটে রেল সচিবের ‘স্পেশাল ট্রেনে’র আশ্বাসে ৯ দিন পর রেল ও সড়কপথ অবরোধ প্রত্যাহার করেছেন আন্দোলনকারীরা।
মঙ্গলবার (২৯ (এপ্রিল) বিকেলে লালমনিরহাটের পাটগ্রামে আনুষ্ঠানিকভাবে এ অবরোধ প্রত্যাহার করেন তারা।
বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেন বুড়িমারী থেকে ঢাকা চলাচলের দাবিতে গত ২১ এপ্রিল রেলপথ ও ২৭ এপ্রিল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সড়কপথ অবরোধ করেন হাতীবান্ধা ও পারগ্রাম উপজেলার বাসিন্দারা।
টানা ৯ দিন রেলপথ ও ৩ দিন সড়কপথ অবরোধের ফলে জেলার বুড়িমারী স্থলবন্দর কার্যত অচল হয়ে পড়ে।
মঙ্গলবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ঢাকাস্থ লালমনিরহাটবাসীর ব্যানারে বুড়িমারী এক্সপ্রেস বুড়িমারী থেকে চালুর দাবিতে মানববন্ধন করে।
মানববন্ধন শেষে একটি প্রতিনিধিদল রেল উপদেষ্টা, রেল সচিব ও রেলের মহাপরিচালকের সঙ্গে দেখা করেন।
পরে রেল সচিব জানান, এ মুহূর্তে বুড়িমারী থেকে ঢাকা সরাসরি ট্রেন চলাচলের সক্ষমতা সরকারের নেই। ফলে ঢাকাগামী যাত্রীরা হয়রানি ও দুর্ভোগ ছাড়াই যেন বুড়িমারী এক্সপ্রেসে চলাচল করতে পারেন, সে জন্য একটি স্পেশাল ট্রেনের বরাদ্দ দেওয়া হবে। যা লালমনিহাট-বুড়িমারী রুটে শুধু বুড়িমারী এক্সপ্রেসের যাত্রীদের সেবায় নিয়োজিত থাকবে।
এদিকে মঙ্গলবার বিকেলে পাটগ্রামে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও রেলওয়ের কর্মকর্তাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে রেল সচিবের আশ্বাসে রেল ও সড়কপথ অবরোধ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হয়।
এর আগে সোমবার রাতে হাতীবান্ধায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠক করেন জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও রেলওয়ের কর্মকর্তারা।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দার বলেন, ‘আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা পর সচিবের আশ্বাসে অবরোধ প্রত্যাহার করেছেন তারা। আন্দোলনকারীদের দাবিগুলো যৌক্তিক। এ নিয়ে আমরা উচ্চ পর্যায়ে কথা বলব।’