নেত্রকোণার দুর্গাপুরে প্রেমিককে ছাত্রলীগ কর্মী বলে পুলিশে ধরিয়ে দিয়ে প্রেমিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে উপজেলা ছাত্রদলের এক নেতাকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ফয়সাল আহমেদ ওরফে দুর্জয় (২৪) দুর্গাপুর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও উপজেলার চণ্ডিগড় গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে।
দুর্গাপুর থানার ওসি মাহমুদুল হাসান জানান, ধর্ষণের শিকার ছাত্রী নেত্রকোণা শহরের বাসিন্দা এবং রাজধানীর একটি কলেজে সম্মান তৃতীয় বর্ষে পড়েন। তার সঙ্গে কলমাকান্দার এক যুবকের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে এবং পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ের সিদ্ধান্তও চূড়ান্ত হয়েছে।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) প্রেমিক যুগল দুর্গাপুরে ঘুরতে গেলে, ফয়সাল আহমেদের কথামতো বিরিশিরির একটি হোটেলে ওঠেন তারা। পরে দুপুর ৩টার দিকে খাবার আনতে বের হলে, ফয়সাল প্রেমিককে ছাত্রলীগ কর্মী হিসেবে পুলিশে ফোন দিয়ে গ্রেপ্তার করান। পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে প্রেমিককে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এ সময় হোটেল কক্ষে একা থাকা ছাত্রীর কাছে ঢুকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে ধর্ষণ করেন ফয়সাল। পরে পুলিশ প্রেমিকের দেয়া তথ্য অনুযায়ী হোটেলে ফিরে দরজা বন্ধ দেখে সন্দেহ হয়। ছাত্রীর চিৎকার শুনে কক্ষের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে ফয়সালকে হাতেনাতে আটক করা হয়।
ঘটনার মাত্র আধাঘণ্টার মধ্যেই পুরো বিষয়টি ঘটে বলে জানান ওসি মাহমুদুল হাসান। ভুক্তভোগী ছাত্রী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করলে ফয়সালকে গ্রেপ্তার দেখানো হয় এবং বুধবার (৩০ মে) সকালে তাকে আদালতে হাজির করা হবে। মেয়েটিকে নেত্রকোণা জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে শারীরিক পরীক্ষার জন্য।
জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক অনিক মাহবুব চৌধুরী বলেন, “দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও অপরাধে জড়িত থাকায় দুর্গাপুর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ফয়সাল আহমেদকে তাৎক্ষণিক বহিষ্কার করা হয়েছে।”