ইরানের রাজধানী তেহরানে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামাসের ব্যুরো প্রধান ইসমাইল হানিয়া ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন । হত্যাকাণ্ডে নিন্দা জানিয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন ইসলামী দলগুলো নেতা এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো।
ইসলামিক জিহাদ আন্দোলনের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ আল হিন্দি হানিয়ার হত্যাকে ফিলিস্তিনিদের বড় ক্ষতি বলে বর্ণনা করেছেন। হানিয়াকে হত্যার প্রতিক্রিয়ায় ইয়েমেনের আনসারুল্লাহ মুভমেন্টের রাজনৈতিক কার্যালয় এক বিবৃতি প্রকাশ করেছে।
হানিয়ার হত্যাকাণ্ড একটি সন্ত্রাসী অপরাধ উল্লেখ করে বিবৃতিতে জানায়, শত্রু যদি ধরে নেয় যে তারা হামাস নেতাদের হত্যা করে প্রতিরোধকে পরাজিত করতে পারে। তবে এটি তাদের জন্য সম্পূর্ণ ভুল ধারনা।
তেহরানের মেয়র আলিরেজা জাকানি এক বার্তায় বলেন, ইরানিরা তাদের অতিথিকে হত্যার নিন্দা করেছে এবং অবশ্যই কুখ্যাত ইহুদিবাদী শাসকদের এই হত্যার জন্য চরম মূল্য দিতে হবে।
ফিলিস্তিনের মুক্তির জন্য গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের একজন নেতা এক বিবৃতিতে জোর দিয়ে বলেছে, ইসমাইল হানিয়ার কাপুরুষোচিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ভয়াবহ পরিণতির মুখোমুখি হবে শত্রুরা।
পাকিস্তানের রাজনৈতিক দল জমিয়তে উলেমা-ই-ইসলামের সভাপতি ফজলুর রহমান বলেন, শহিদ ইসমাইল হানিয়ার রক্ত প্রতিরোধ ও ইহুদিবাদী শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াইকে আরও শক্তিশালী করবে। দখলদার ইসরাইলের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের লড়াই অবশ্যই অব্যাহত থাকবে।
ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস হামাস প্রধানের হত্যার নিন্দা করে বলেন, এই কর্মকাণ্ডকে কাপুরুষোচিত ও বিপজ্জনক ।
ফিলিস্তিনি জাতীয় উদ্যোগ আন্দোলনের মহাসচিব মুস্তাফা আল বারগুউথি বলেন, শহিদ হানিয়াকে হত্যা করা একটি অপরাধ, তাদের অধিকার অর্জনের জন্য ফিলিস্তিনি জনগণের সংকল্পকে আরও শক্তিশালী করবে।
আরবি/এস
আপনার মতামত লিখুন :