কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৯ মার্চ, ২০২৪, ০৭:২৭ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

কিশোরগঞ্জ শহরে

হোটেল-রেস্তোরাঁর সামনে ইফতার বিক্রি, মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

পবিত্র রমজান মাসের রোজার শুরু থেকেই কিশোরগঞ্জ শহরের অধিকাংশ হোটেল-রেস্তোরাঁর বিক্রি কমে গেছে। বিক্রি কমায় ইফতার বিক্রি তাদের প্রধান ব্যবসাতে পরিণত হয়েছে। হোটেল বা রেস্তোরাঁর সামনে বিক্রি হচ্ছে বাহারি ইফতার। কিন্তু মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। খোলা অবস্থায় বিক্রি হচ্ছে এসব ইফতার।

গতকাল শুক্রবার শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। তেলে ভাজা বা চিনির তৈরি এসব বাহারি ইফতার ব্যস্ত সড়কের ধারে খোলা বিক্রি হচ্ছে। রাস্তার ধূলাবালিসহ ময়লা উড়ে পড়ছে ইফতারে। এ বিষয়ে সচেতনতা যেমন মালিক কর্মচারীদের নেই,তেমন নেই গ্রাহকদেরও। ইফতারের সময় এসেছে তাই কিনছেন এসব খাদ্যপণ্য।

হোটেল মালিক বা দোকান কর্মচারী কোনোভাবে কাগজের প্যাকেটে ইফতারি রোজাদারের হাতে দিতে পারলেই দায়িত্ব শেষ। স্বাস্থ্যবিধির কোনো বালাই নেই। তারপরও রোজাদাররাও লাইন ধরে এসব ইফতারি কিনছেন।

পুরান থানা এলাকায় ইফতার কিনতে এসেছেন জামিল তাকে জিজ্ঞেস করা হয়, এভাবে ব্যস্ত সড়কের পাশে খোলা ইফতার কিনছেন, এতে ধুলাবালিসহ আবর্জনা এসে পড়ছে এতে তো অসুখও হতে পারে! ক্রেতা জামিল বলেন, সবাই কিনছে তো তাই আমিও কিনছি। নিম্নবিত্ত, নিম্ন-মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত তুলনামূলক কম আয়ের পেশাজীবী মানুষ রাস্তার ধারের খোলা এসব ইফতার কিনছেন। এসব ক্রেতাকে টার্গেট করে হোটেলগুলো চটকদার নানা স্বাদের ইফতার বিক্রি করছে।বিষয়টি নিয়ে কথা হয় একটি রেস্টুরেন্টের ম্যানেজারের সঙ্গে। তিনি খুব ব্যস্ত ইফতারি বিক্রির দাম নিতে। তাকে জিজ্ঞেস করা হয় আপনারা সড়কের পাশে খোলা ইফতার বিক্রি করছেন। এগুলো তো ঢেকে রেখে বিক্রি করতে পারেন!

এ কথা শুনে হোটেল ম্যানেজার দাম নেয়া বন্ধ করে থেমে বলেন, ইফতার আইটেম গুলি ঢাকাই ছিল। এখন আবার ঢাকছি।পাশের একটি রেস্টুরেন্টেরও একই অবস্থা। হোটেলের সামনে বাহারি পদের ইফতার বিক্রি করছে তারা।

তারা হালিম, পেঁয়াজু, ডিম চপ, ছোলা, জিলাপিসহ বিভিন্ন পদের খোলা ইফতার বিক্রি করছে। খোলা খাদ্য বিক্রি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর-এ বিষয়ে দোকানদার বা গ্রাহক কারোরই ভ্রূক্ষেপ নেই। মাঝারি মানের এসব হোটেলের মূল বেচাকেনা কমে যাওয়ায় দোকানের সামনে এসব খোলা ইফতার বিক্রি করছে। তবে ফুটপাতে কয়েকজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীকে দেখা যায় পলিথিনে ইফতার ঢেকে বিক্রি করছে।

চা বিক্রেতা শান্তর সঙ্গে কথা হয়। রোজায় তারও চা বিক্রি কমে গেছে। তাই রাস্তার ধারে আলুর চপ ও বেগুনি ভেজে বিক্রি করছে। সঙ্গে মুড়ি ও ছোলাও রয়েছে।

তিনি বলেন, ইফতার ঢেকে রাখলে রাস্তার ধুলাবালি পড়বে না, ভালো থাকবে। তা না হলে খোলা ইফতার বিক্রি করলে, আর তা মানুষ খেলে মানুষের পেটের অসুখ হতে পারে।

এবিষয়ে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা বলেন, এসব খণ্ডকালীন ইফতার বিক্রেতারা কোনো রকম নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ না করেই ইফতার পণ্য তৈরি করছে এবং রাস্তার ধারে বিক্রি করছেন।যা মানুষের শরিরের জন্য খুবই ক্ষতিকর।

মন্তব্য করুন