জুয়েল সাদত

প্রকাশিত: ১০ মে, ২০২৪, ০৯:৪৩ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

বর্ধিত হোল্ডিং ট্যাক্স; সিলেটের টক অব দ্য টাউন

ছবি সংগৃহীত

সিলেট সিটি কর্পোরেশনের নতুন হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়ানো নিয়ে সিটি কর্পোরেশনের নাগরিকরদের  মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করেছে। সিলেট সিটি কর্পোরেশন ২৭ টি ওয়ার্ড থেকে ৪২ টি ওয়ার্ডে রূপান্তরিত হয়েছে। নতুন ওয়ার্ডের অবকাঠামোগত অনেক কাজ। নতুন ওয়ার্ড গুলো হোল্ডিং ট্যাক্সের আওতায় আসছে। অথচ সিটি কর্পোরেশন পুরো সিলেটের ৪২ ওয়ার্ডে বাসা বাড়ির হোল্ডিং ট্যাক্স মাত্রাতিরিক্ত বাড়িয়ে দিয়েছেন। তা ৩০০ থেকে ৫০০ শতাংশ বলে অনেকের দাবী। হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়তেই পারে, যা ৫ শতাংশ ১০ শতাংশ হতে পারে। অথচ এবার সব ধরনের নিয়মনীতির বাইরে গিয়ে হোল্ডিং ট্যাক্স বাাড়ানোয় সিলেট জুড়ে চলছে অসন্তোষ। এরই মধ্যে সাধারন নাগরিকরা সর্বদলীয় মিটিং করেছেন, মিছিল করেছেন এবং প্রতিবাদ সভাও করেছেন। শহর জুড়ে এখন টক অব দ্য টাউন ‘হোল্ডিং ট্যাক্স’।


প্রবাসীদের শহর সিলেট। তাদের প্রবাসীদের বাসা বাড়ী সিলেট শহরে বেশী। লন্ডন, আমেরিকা, কানাডা ও মধ্যপ্রাচ্যের  প্রবাসীরা এই অনৈতিক হোল্ডিং ট্যাক্স নিয়ে বিক্ষুব্ধ।

সিলেট সিটি কর্পোরেশনের নাম উচ্চারণ করতে চান না অনেকেই। এটি একটি অব্যবস্থাপনার ভবন। যথেষ্ট নাগরিকসেবা  নেই, তারপরও ৪০০/৫০০  গুন বেড়ে গেল হোল্ডিং ট্যাক্স। নাগরিকরা এ নিয়ে চরম হতাশ।
২০০৯ সালে মইন উদ্দিন ও ফখরুদ্দিন সরকারের আমলে একবার ট্যাক্স এসেসমেন্ট হয়েছিল। আজম খান ছিলেন ভারপ্রাপ্ত মেয়র, সেই সময়টায়ও নাগরিকরা গনহারে ডিসপুট  দিয়ে হোল্ডিং ট্যাক্সের এসেসমেন্ট ঠিক করেছিলেন।


বর্তমানে নাগরিকদের হোল্ডিং ট্যাক্স এমন বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে কোন বিত্তশালীও পরিশোধ করবেন না বলে জানিয়েছেন।

সব গুলো ওয়ার্ডে নাগরিকরা নিজেদের টাকায় ময়লা ফেলেন। পানিও নিজেদের টাকায় কেনা ডিপ টিউওয়েলের পানি। নাগরিক সেবাটা তাহলে কি? ট্যাক্স অবশ্যই বাড়বে ৫ শতাংশ, কোন কোন সময় প্রয়োজনে  ১০ শতাংশ বাড়তে পারে।


বাণিজ্যিক ভবন বা এপার্টমেন্টে  বাড়তে পারে একটু বেশী, একটি টিনের বাসায়, একটি একতলা বাসায়, একটি মধ্যবিত্ত ফ্যামিলীর ছোট বাসায় ৪০০ শতাংশ ট্যাক্স বাড়ানো হল।

১২০০ স্কয়ারের বাসায় তিন মাসে ২৮০০০ হাজার কেন? নাগরিক সমাজ এ সিদ্ধান্তে অসুন্তুষ্ট। বার বার  মিটিং হচ্ছে। নগর ভবনে ছুটছেন সবাই। মিছিল শুরু হয়েছে।

সিলেট আখালিয়ার ব্যবসায়ী রুহুল আমিন বলেন, আমার বাসায় ট্যাক্স ছিল বছরে ৩০০০ টাকা, সেটা ২৮০০০ টাকা করা হয়েছে।

লন্ডনের জনপ্রিয় কাউন্সিলর আয়াছ মিয়া, যার সিলেটে বাসা বাড়ী রয়েছে- তিনি জানান, লন্ডন প্রবাসীরা খুবই মর্মাহত এই অযৌক্তিক করারোপের সিদ্বান্তে।

আমেরিকা প্রবাসী মইন উদ্দিন তফাদার, যার পাঠানটুলাতে কয়েকটি বাড়ি রয়েছে। তিনি জানান, এমনিতেই ভাড়াটিয়ারা ভাড়া দিতে হিমশিম খাচ্ছেন, এখন এই করারোপে ভাড়া বাড়ালে অনেকেই গ্রামে চলে যাবেন।


সিলেট সিটি করপোরেশন নতুন এসেসমেন্টের উপর ভিত্তি করে নগরবাসীর উপর যে কয়েকশত গুণ হোল্ডিং ট্যাক্স আরোপ করেছেন তা অযৌক্তিক, গণবিরোধী উল্লেখ করে অবিলম্বে এই বর্ধিত হোল্ডিং ট্যাক্সের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানিয়েছেন সিলেটের নাগরিকবৃন্দ।

 

মন্তব্য করুন