বিশেষ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৩ মে, ২০২৪, ০৮:১৯ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

পত্রিকার সার্কুলেশন গোপন করার সুযোগ থাকবে না: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

দৈনিক পত্রিকার প্রকৃত সার্কুলেশন গোপন করার সুযোগ বন্ধ করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আরাফাত আলী। তিনি বলেছেন, সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। সরকার চায় গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে কাজ করুক। তবে এই স্বাধীনতার অপব্যবহার না হোক। অবাধ তথ্য প্রবাহের অপপ্রয়োগ না হোক। অপপ্রয়োগে সরকারের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হলে, রাষ্ট্রের ক্ষতি হলে সে ক্ষেত্রে কোন ছাড় দেয়া হবে না।

আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) কার্যালয়ে আয়োজিত 'বিএসআরএফ বার্তা'র মোড়ক উন্মোচন ও 'মতবিনিময়' সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএসআরএফ সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাব। আর সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক।

সাংবাদিকদের ডিএফপির প্রকাশিত দৈনিক পত্রিকার তালিকা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'দৈনিক পত্রিকার সার্কুলেশন নিয়ে ম্যানুপুলেশনের সুযোগ বন্ধে ইতিমধ্যে কাজ শুরু করা হয়েছে। বিষয়টি একটু জটিল। জটিল এই কারণে যে সংখ্যা নির্ণয় করার যে ফর্মুলা আছে তার মধ্যেও কিছু গলদ আছে, সেটিকেও ম্যানুপুলেট করা যায়।'

তিনি বলেন, ‌‘যদি বলি ফর্মুলা অলরেডি আছে সেটি দিয়ে সঠিক তালিকা করে ফেলব, এর মধ্যেও দেখা যাবে সঠিক হয়ত অনেক কিছু হবে না। কারণ পেছন দিকে ম্যানুপুলেশন সমস্যা। যে কারণে আমি ফর্মুলাটা নিয়ে কাজ করছি।’

ডিএফপিতে নতুন ডিজি নিয়োগ দেওয়ার প্রসঙ্গ তুলে ধরে আরাফাত আলী বলেন, যারা সার্কুলেশনের কাজ করে তাদেরকে নিয়ে আমি বসব। ফর্মুলা ফাইনটিউন করবো আমরা। সত্যিকার অর্থে সার্কুলেট, অর্থাৎ শুধু প্রিন্ট করলে হবে না, বিক্রিত নাম্বারটা আমরা পাওয়ার ফর্মুলা বের করব, যেখানে ম্যানুপুলেশনের সুযোগ থাকবে না।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সব জায়গায় আমি এক ধরনের স্বচ্ছতা ও অবজেকটিভিটি আনার চেষ্টা করছি। আপনারা সবার সামনে যে বিয়য়টি বলবেন, আমাকে একা পেলেও সেই কথাটিই বলবেন।

আরাফাত আলী বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে ক্রোড়পত্র দেই তা কিন্তু ডিএফপির লিস্ট দেখে দিচ্ছি না। আমি কিন্তু একটি লিস্ট বানিয়েছি, বিশেষ সোর্সের মাধ্যমে। যেটি আমাকে মোটামুটি সঠিক একটি সার্কুলেশনের চিত্র দিয়েছে, তার ভিত্তিতে আমি এখন সিদ্ধান্তগুলো নিচ্ছি।

তিনি বলেন, কারা কত ক্রোড়পত্র পেয়েছে তা এক্সেল সিটের মাধ্যমে মেইন্টেইন করি। কাছাকাছি সার্কুলেশনের দুটি পত্রিকার মধ্যে একটি পত্রিকা কম পেলে পরে তা ব্যালেন্স করার চেষ্টা করি। আমি ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করি।

সাংবাদিকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা বেধে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়ে এক প্রশ্নে তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটি নিয়ে এ মুহুর্তে আমি বলতে পারব না, আইনমন্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। এ মুহুর্তে আমি গণমাধ্যমকর্মী আইন নিয়ে কাজ করছি।

গণমাধ্যমকর্মী আইন পাস হলে এটি মোটামুটি সবকিছু কাভার করে ফেলবে। কারণ এখানে অনলাইন, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মোটামুটি সবকিছুই কাভার করবে। গণমাধ্যমের সমস্যাগুলোর সমাধান হবে বলে জানান তথ্য প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, শ্রম আইনের অধীনে যত সুরক্ষা দেওয়া আছে সেগুলোকে রেখে বাকী বিষয়গুলো গণমাধ্যমকর্মী আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। সাংবাদিকদের দাবির প্রেক্ষিতে গণমাধ্যমে শৃঙ্খলা আনার কাজ করা হচ্ছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।

 

 

মন্তব্য করুন