কুড়িগ্রামে বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার নীচে তিস্তার পানি

ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে কুড়িগ্রামে দ্রুত বাড়ছে নদ-নদীর পানি। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বিপৎসীমার কাছাকাছি রয়েছে ধরলা ও দুধকুমার নদের পানি। তবে, গতকাল তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে থাকলেও আজ তা সামান্য কমে বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে, এসব নদনদী অববাহিকার বেশ কিছু চর ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

তলিয়ে গেছে এসব নীচু এলাকার শাক-সবজি, পাট সহ মৌসুমি ফসল। প্লাবিত এসব এলাকার বাসিন্দারা রয়েছেন বন্যা আতঙ্কে।

বজরা ইউনিয়নের কালপানি এলাকার গৃহবধূ শাহাজাদী জানান, তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে তাঁর এলাকা কালপানি সহ সাতালঙ্কর, পশ্চিম বজরা, বিরহীন, সাদুয়াদামার হাট, কাশিমবাজার, মধ্য বজরা এলাকার নিম্নাঞ্চল গুলো প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার কিছু কিছু বসতবাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। এছাড়া অধিকাংশ এলাকাগুলোর বসতবাড়ির চারিদিকে পানি রয়েছে।

গৃহবধূ শাহাজাদী বলেন, 'বসতবাড়ির চারিদিকে পানি থাকায় ছোট সন্তানকে নিয়ে বিপাকে আছি। গবাদি পশু গুলোকে ঘর হতে বের করতে পারছিনা। এভাবে পানি বাড়তে থাকলে বন্যা হতে পারে। বন্যা আসলে আমরা সবাই বিপদে পরবো!'

মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকাল ৯ টার রিপোর্টে পাউবো, কুড়িগ্রামের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ জানায়, গতকাল তিস্তার পানি কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপরে থাকলেও গত ২৪ ঘন্টায় তা ১৫ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও ধরলার পানি তালুক শিমুলবাড়ী পয়েন্টে গত ২৪ ঘন্টায় ১২ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে অনান্য নদনদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় দুধকুমার নদের পানি পাটেশ্বরী পয়েন্টে ২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্রের পানি নুনখাওয়া পয়েন্টে গত ২৪ ঘন্টায় ৪১ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৪৮ এছাড়াও ব্রহ্মপুত্র চিলমারী পয়েন্টে গত ২৪ ঘন্টায় ৪২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৪৪ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান জানান, তিস্তার পানি কিছুটা কমে বিপৎসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা ও দুধকুমার নদের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। নদনদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে স্বল্পমেয়াদী বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।