জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৪ জুলাই, ২০২৪, ০৭:৩৫ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

জগন্নাথপুর নদীতে পড়ে বেঁচে গেলেন তিন বছরের শিশু

ছবি: সংগৃহীত

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা সদরের অতি ঝুঁকিপূর্ণ ডাকবাংলো সেতু থেকে নলজুর নদীতে এক শিশু পড়ে যাওয়ার ঘটনায় পৌর শহরে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
এ ঘটনায় কর্তৃপক্ষকে দায়ী করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান এলাকাবাসী।


তবে ঝুঁকিপূর্ণ এ সেতু ইতিপূর্বে  উপজেলা প্রশাসন অনুপযোগী হিসাবে ঘোষণা দিলেও এটা এখন জনগনের চলাচলের একমাত্র ভরসা।

তবে জোড়াতালি দিয়ে পৌর প্রশাসন এটাকে সংস্কার করলেও দু-পাশে কোন রেলিং না দেয়ায় প্রায়ই ঘটছে দূর্ঘটনা।

জানা গেছে, জগন্নাথপুর পৌরসভার জালালপুর গ্রামের মুজিব মিয়া তার শিশু পুত্র রুহান (৩) কে নিয়ে বুধবার জগন্নাথপুর বাজারে যাওয়ার পথে শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে ডাকবাংলো সেতু পারাপারের সময় মোটর সাইকেল থেকে শিশুটি পরে গেলে কোন রেলিং না থাকায় শিশুটি নলজুর নদীর প্রবল শ্রুত ও বন্যার পানিতে পরে যায়। 
সাথে সাথে পিতা মুজিবও পানিতে লাফ দিয়ে নদীতে পড়ে তার আদরের শিশু সন্তানটি উদ্ধারে সমর্থ হয়।


ঝুঁকিপূর্ণ ও চলাচলে অনুপযোগী সেতুতে প্রায়ই দূর্ঘটনা ঘটলেও উপজেলা প্রশাসন ও পৌর কর্তৃপক্ষ এর দায় নিতে অনীহা।


এ ঘটনার ১ দিন পেড়িয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এ সেতু মেরামত কিংবা দু-পাশে নিরাপত্তার জন্য রেলিং এর ব্যবস্থা গ্রহন করেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

ভুক্তভোগী জনসাধারণ বলেন, এই শিশুটি বেঁচে থাকার কথা নয়। বাচ্চাটিকে সয়ং আল্লাহ রক্ষা করেছেন। 


নদীতে এতো পানি ও বন্যার শ্রুত ছিল।
তবে সেতুর রেলিং থাকলে শিশুটি পানিতে পরতোনা। 


কর্তৃপক্ষের চরম অবহেলার কারণে এই দূর্ঘটনা ঘটেছে।

উল্লেখ্য : জগন্নাথপুর নলজুর নদীর উপর থাকা ডাকবাংলো সেতু ধেবে যায় প্রায় ২ বছর আগে।


খাদ্য গোদামের সামনের মূল ব্রীজটি হাতিরঝিল আদলে নতুন ব্রীজ নির্মানের জন্য ভেঙে, নতুন কাজ শুরু হয়েছে।


যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য বিকল্প হিসাবে জোড়াতালি দিয়ে একটি ডাইভারসন করা হয়েছিল, এটাও পানির নীচে। 

একমাত্র এই ঝুঁকিপূর্ণ ডাকবাংলো সেতু দিয়ে এখন প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ও যানবাহন চলাচল করছে।


উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল বশিরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক, জনসাধারণ যাহাতে নিরাপদে চলাচল করতে পারে সেটা দেখছি। 


স্থানীয় কাউন্সিলর কৃষ্ণ চন্দ্র চন্দ বলেন, মেয়র (আক্তার হোসেন) মহোদয়ের সাথে আলাপ করছি, সেতুর দু-পাশে রেলিং বাঁশ দিয়ে হলেও মানুষ অনেকটা নিরাপদ থাকবে।

মন্তব্য করুন