ফরিদপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৪ জুলাই, ২০২৪, ০৮:৩৬ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

ফরিদপুরে বিয়ের প্রলোভনে যুবতীকে ধর্ষণ

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

ফরিদপুরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মোসা: রিমা খাতুন (১৮) নামে এক যুবতীকে একাধিকবার ধর্ষনের অভিযোগে অভিযুক্ত ধর্ষণকারী ফরিদপুর সদর উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের ধোপাডাঙ্গা গ্রামের সালাম তালুকদারের ছেলে মোঃ জুয়েল তালুকদারের (২৫) উপযুক্ত বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকালে সমাজের চিত্র ডট কম ফরিদপুর কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ভিকটিম রিমা খাতুন জুয়েল তালুকদারের প্রতিবেশী মোঃ হালিম মৃধার মেয়ে। সংবাদ সম্মেলনে ভিকটিম রিমা খাতুন জানান, আমাদের বাড়ী ও ধর্ষক জুয়েল তালুকদারের বাড়ী খুবই কাছাকাছি। ধর্ষক জুয়েল রাস্তাঘাটসহ আমাদের বাড়ীর আশে পাশে এবং মোবাইল ফোনের ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে আমাকে আজে বাজে অশ্লীল কথাবার্তা বলে ম্যাসেজ দিত। আমি জুয়েলকে নিষেধ করায় সে আমাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে ফুসলাইয়ে ফাসলাইয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমার সাথে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করে।

পরবর্তীতে গত মাসের ০২ তারিখ সকাল অনুমান ১১টার সময় আমাদের বাড়ীতে কেউ না থাকায় জুয়েল আমাদের বাড়ীর ঘরের ভিতর এসে আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে শারীরিক সম্পর্ক করে। পরবর্তীতে জুয়েল পুনরায় ১৮ তারিখ দুপুর অনুমান ১২টার সময় আমাদের বাড়ীতে কেউ না থাকার সুযোগ নিয়ে আমার ঘরের ভিতর এসে আমাকে পুনরায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করিতে গেলে আমি বাধা দিলে জুয়েল আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক করে। ভিকটিম আরও বলেন, জুয়েল বিভিন্ন সময় আমাদের শারীরিক অন্তরঙ্গের ভিডিও ও স্টীল ছবি ধারন করে রাখে। আমি বাধা দিলে সেগুলো মুছে ফেলবে বলে আমাকে আশ্বস্ত করে। পরবর্তীতে আমাকে বিয়ে করার কথা বললে জুয়েল আমাকে বিয়ে করবেনা বলে আমার সাথে খারাপ আচারন শুরু করে এবং আমাকে অকথ্যভাষায় গালিগালাজ করে। জুয়েল তার কাছে থাকা আমার গোপনীয় ভিডিও ও ষ্টীল ছবি আমার ম্যাসেঞ্জার ও অন্যান্য ম্যাসেঞ্জারে পাঠায়। জুয়েল উক্ত ছবি আমার আত্মীয়স্বজনসহ এলাকার লোকজনের নিকট পাঠাবে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন পর্ণগ্রাফি সাইটে ছেড়ে দিয়ে ভাইরাল করে দিবে এবং

আমাকে খুন জখমসহ নানারকম ভয়ভীতি দেখিয়ে হুমকি দিচ্ছে। বিষয়টি আমি আমার মায়ের নিকট জানাইলে আমার মা এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মাধ্যমে আলাপ আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় লিখীত অভিযোগ দাখিল করেছি। এ বিষয়ে কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হাসানুজ্জামান জানান, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তসাপেক্ষে মামলা রুজু করা হয়েছে। আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। সংবাদ সম্মেলনে ভিকটিমের মা ও বিভিন্ন মিডিয়ার সংবাদ কর্মিরা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য করুন