সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৪ জুলাই, ২০২৪, ১০:১৭ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

সারিয়াকান্দিতে বিপদসীমার উপরে যমুনা নদীর পানি

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

বগুড়া সারিয়াকান্দিতে যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে এবং উপজেলার বেশ কয়েকটি এলাকায় যমুনা নদীর ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। ভাঙন কবলিত এলাকায় দ্রুত কাজ শুরু করার আশ্বাস।
বগুড়া সারিয়াকান্দিতে গত সোমবার থেকে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেদিন পানির উচ্চতা ছিল ১৪.৭১ মিটার। গতকাল বুধবার সারিয়াকান্দিতে যমুনা নদীর পানির উচ্চতা ছিল ১৫.৭৮ মিটার। তাই গত ৩ দিনে পানি সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিকে এ উপজেলায় যমুনার পানির বিপৎসীমা ১৬.২৫ মিটার। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায়  পানি রেকর্ড করা হয়েছে ১৬.৫০ মিটার। বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার  উপর  দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে পানি বৃদ্ধির ফলে গত কয়েকদিন আগে থেকে চলমান উপজেলার চালুয়াবাড়ী ইউনিয়নের শিমুলতাইড় ও মানিকদাইড় গ্রামে এবং কামালপুর ইউনিয়নের ইছামারা গ্রামে যমুনা নদীর ভাঙন চলমান রয়েছে। সেখানে দ্রুত জিও এবং টিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধে কাজ শুরু করার আশ্বাস দিয়েছেন বগুড়া জেলা প্রশাসক মোঃ সাইফুল ইসলাম। এদিকে পানি বাড়ায় উপজেলার চালুয়াবাড়ী, কাজলা, কর্ণিবাড়ী, চন্দনবাইশা এবং বোহাইল ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ফলে এসব এলাকার কৃষকরা তাদের বেড়ে ওঠা অপরিপক্ক পাটগাছ কেটে নিচ্ছেন।

উপজেলার চালুয়াবাড়ী ইউপির চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম বাদশা বলেন, গত কয়েকদিনের যমুনা নদীর ভাঙনে শিমুলতাইড় গ্রামের ৪৩ টি পরিবার এবং মানিকদাইড় গ্রামের ২০ টি পরিবার তাদের বাড়ীঘর ভেঙে নিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন।
উপজেলার সদর ইউনিয়নের মোশাররফ হোসেন বলেন, যমুনা নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় আমরা আমাদের অপরিপক্ক পাটগাছ কেটে নিচ্ছি। এতে আমাদের ফসল চাষে লোকসান হবে। আর কয়েকদিন পাটগাছের বয়স হলে ভালো হতো।

বগুড়া জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হক বলেন, যমুনা নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধির পাচ্ছে  এখন বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। উপজেলায় যমুনা নদীর ভাঙন কবলিত এলাকায় দ্রুত কাজ শুরু করা হবে। 

মন্তব্য করুন