ঢাকা রবিবার, ০৬ অক্টোবর, ২০২৪

বিদ্যুৎ বিল সংগ্রহ বন্ধ করে দিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: জুলাই ৮, ২০২৪, ০৩:৩০ এএম

বিদ্যুৎ বিল সংগ্রহ বন্ধ করে দিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা

ছবি: সংগৃহীত

পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে একীভূত করে অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়ন এবং চুক্তিভিত্তিক ও অনিয়মিত কর্মচারীদের নিয়মিতকরণের দুই দফা দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছে সারাদেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৪০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বিদ্যুৎ সেবা চালু রেখে এ কর্মসূচি পালন করলে আন্দোলনের ৭ম দিন রোববার থেকে বিদ্যুৎ বিল সংগ্রহ ও বিতরণ সেবা বন্ধ করে দিয়েছে কর্মকর্তা কর্মচারীরা। 

রবিবার সকালে আন্দোলন কর্মসূচির অংশ হিসেবে ৮০ টি সমিতিতে গ্রাহকের রিডিং গ্রহণ ও বিল বিতরণকারি মিটার রিডার কাম মেসেঞ্জাররা   তাদের রিডিং বইগুলো জিএম/ সিনিয়র জিএম এর নিকট জমা করেন এবং তারা রিডিং গ্রহণ করবেন না এবং বিল বিতরণ করবেন না বলে জানিয়ে দেন। কর্মীরা যদি সময় মত রিডিং গ্রহণ না করেন এবং বৈদ্যুতিক বিল বিতরণ না করেন তাহলে গ্রাহকদের বিল পরিশোধে জটিলতা সৃষ্টি হবে এবং গুনতে হবে বিলম্ব মাশুলের অতিরিক্ত ফি।

বিভিন্ন জেলায় কয়েকজন গ্রাহকের সাথে কথা বলে জানা যায়, সরকার এ সমস্যার সমাধান না করায় বিদ্যুৎ বিল জমা দেযায় জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে। তারা প্রয়োজনে আরইবিকে রিডিং গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করেন। তাদের দাবি, যেহেতু আরইবির কারণে আজকের এই অচলাবস্থা তাই রিডিং এবং গ্রাহকের বিদ্যুৎ বিল সংক্রান্ত সকল দায়ভার আরইবিকেই বহন করতে হবে। 

এছাড়াও কর্মসূচির অংশ হিসেবে আন্দোলনে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে বাধা প্রদান করায় যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজারে মো: ইছাহাক আলী এর কুশপুত্তুলিকা পোড়ানো হয়।‌ সমিতির কর্মকর্তা কর্মচারীদের উপর হামলা এবং হত্যার হুমকির অভিযোগ ছিল তার ওপর। 
কর্ম বিরতিতে অংশগ্রহণকারী একাধিক কর্মকর্তা কর্মচারী জানান দু-একদিনের মধ্যে ভালো কিছু দেখতে না পেলে মোবাইল সিম জমা প্রদানসহ গণ ছুটির মতো আরো কঠোর কর্মসূচিতে যাবে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।‌

কর্মসূচিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ আরইবির দুর্নীতির মাধ্যমে  ক্রয়কৃত মিটার, ইনসুলেটর, লাইটেনিং, এরেস্টার ইত্যাদি নিম্নমানের মালামাল প্রদর্শন করেন। এসব নিম্নমানের মালামাল দিয়ে বিদ্যুৎ লাইন তৈরি করায় সামান্য ঝড় বৃষ্টিতেই লাইন নষ্ট হয় এবং পুনরুদ্ধার করতে প্রচুর সময় লাগে। ফলে গ্রাহক হয়রানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। 


সরকারের পক্ষে কোন আশ্বাস না পাওয়ায় সোমবারও কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনরতরা।

Link copied!