ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪

ইতি জিসানের মা

মিনহাজুর রহমান নয়ন

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১, ২০২৪, ০৫:২৪ পিএম

ইতি জিসানের মা

ছবি: সংগৃহীত

প্রবাসে চিঠি

জীবনের তাগিদে প্রবাসে থাকে জাহিদ। দেশের বাড়িতে থাকে তার একমাত্র ছেলে জিসান ও স্ত্রী কানিজ। কানিজ তাকে অনেক কিছুই বলতে চায় কিন্তু জাহিদের অবস্থা বিবেচনা করে আর মেসেঞ্জারে লিখেনা। আনমনে কখনো লিখলেও তা আর সেন্ট করা হয়না। জমা থেকে যায় ড্রাফটে। তার মধ্যে একটি লেখা হলো-

প্রিয় জিসানের বাবা 
কেমন আছো? আমরা ভালো আছি। গতকাল ব্যাংকে টাকা আসছে; তুলে আনছি। সব বিল দিয়ে দিবো বাজারও করে ফেলবো, আল্লাহর রহমতে আমরা ভালো আছি, আশা করি তুমিও খুব ভালো আছো। কষ্টে আছো তাও বুঝি। তবে খুব বেশি দিন আর নেই যখন আমরা সবাই এক সাথে থাকবো, তখন হয়তো আর কোনো কষ্ট থাকবে না। আমাদের এলাকায় পানি উঠেছিলো সবাই বাড়ির ছাদে গিয়ে ছিলাম কিছু দিন। পানি নেমে গিয়েছে এখন কোনো সমস্যা নাই। তোমাকে ফোনে বলতে পারতাম কিন্তু তুমি টেনশন করবে তাই বলিনি। খাওয়া দাওয়ার সমস্যা ছিলো কিছু দিন; তবে বুঝা যায়নি। আশেপাশের সবাই একসাথে রান্না করে খেয়েছি। অনেক কষ্ট হলেও কিছুটা পিকনিক এর মত একটা ব্যপার ছিলো। অনেক মানুষকেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা, আবার অনেক নতুন নতুন মানুষকেও কাছে পেয়েছি। কেউ খাবার দিয়ে যাচ্ছে কেউ আবার খোঁজ খবরও নিয়ে যাচ্ছে। অপরিচিত মানুষও এখন আপন হয়ে গেছে; আমরাতো আগে ভাবতাম অপরিচিত মানুষের সাথে কথাও বলা ঠিক না। তবে এখন কেনো যেন অটো কথা বের হয়ে যায়। সেনাবাহিনী এসেছে রাস্তার কাজ চলছে, বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ নিচ্ছে, সব কিছু আশা করি খুব তাড়াতাড়ি স্বাভাবিক হবে।

 

ইতি
জিসানের মা

আরবি/জেডআর

Link copied!