‘যদি তুমি ভয় পাও, তবে তুমি শেষ; যদি তুমি রুখে দাঁড়াও, তবে তুমি বাংলাদেশ’ এ প্রতিপাদ্যে ঢাকার সোহরাওয়ার্দীর উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুক্রবার (১ নভেম্বর) থেকে শুরু হচ্ছে উৎসব যাত্রাপালা। এবারই প্রথম শিল্পকলা একাডেমি বাইরে খোলা চত্বরে এ যাত্রাপালা উৎসব শুরু হলো। সাত দিনের এ উৎসব চলবে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত। এ আয়োজন সবার জন্য উন্মুক্ত।
শিল্পকলা একাডেমির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এই উৎসবে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার সাতটি যাত্রা দল প্রতিদিন একটি ঐতিহাসিক বা সামাজিক ঘটনা অবলম্বনে যাত্রাপালা পরিবেশন করবে। প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত পালা পরিবেশিত হবে।
আজ সন্ধ্যা ৬টায় উৎসবের উদ্বোধন করা হবে। প্রধান অতিথি থাকবেন ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী ইসরাফিল মজুমদার। বিশেষ অতিথি থাকবেন যাত্রাশিল্পী অনিমা দে। স্বাগত বক্তব্য দেবেন শিল্পকলা একাডেমির নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের পরিচালক ফয়েজ জাহির। সভাপতিত্ব করবেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক, নাট্যনির্দেশক ও শিক্ষক সৈয়দ জামিল আহমেদ।
শিল্পকলা একাডেমির বাইরে উৎসব প্রসঙ্গে মহাপরিচালক সৈয়দ জামিল আহমেদ বলেন, ‘শৈশবে সামাজিক যাত্রাপালাগুলো দেখে আমরা নৈতিকতার শিক্ষা লাভ করেছি। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় যাত্রাশিল্পকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করা হয়েছে। সেই পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটাতে হবে।
আজ সন্ধ্যায় পরিবেশিত হবে সুরুভী অপেরার ‘নিহত গোলাপ’। এটির পালাকার আগন্তুক, নির্দেশক কবির খান।
আগামীকাল শনিবার (২ নভেম্বর) একই সময়ে থাকবে নিউ শামীম নাট্য সংস্থার পালা ‘আনারকলি’। এর পালাকার প্রসাদকৃষ্ণ ভট্টাচার্য এবং নির্দেশক শামীম খন্দকার।
রোববার (৩ নভেম্বর) বঙ্গবাণী অপেরার ‘মেঘে ঢাকা তারা’, নির্দেশক মানস কুমার ও পালাকার রঞ্জন দেবনাথ।
সোমবার (৪ নভেম্বর) মঞ্চস্থ হবে নর-নারায়ণ অপেরার ‘লালন ফকির’, নির্দেশক ব্রজেন কুমার বিশ্বাস ও পালাকার দেবেন্দ্রনাথ।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) বন্ধু অপেরার ‘আপন দুলাল’। এটির নির্দেশনা দিয়েছেন মনির হোসেন, পালাকার শামসুল হক।
বুধবার (৬ নভেম্বর) দেখা যাবে শারমিন অপেরার পালা ‘ফুলন দেবী’। এটির নির্দেশনা দিয়েছেন শেখ রফিকুল ও পালাকার পুর্ণেন্দু রায়।
শেষ দিন বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) দেখা যাবে যাত্রাবন্ধু অপেরার ‘নবাব সিরাজউদ্দৌলা’। পালার নির্দেশক আবুল হাশেম ও পালাকার শচীননাথ সেন।
আপনার মতামত লিখুন :