‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান, নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ’- এ স্লোগানকে ধারণ করেই মাসব্যাপী নানা আয়োজনে থাকবে এবারের বইমেলা। আর মাত্র ১০ দিন পর শুরু হতে যাচ্ছে অমর একুশে বইমেলা। গত ১৫ বছরের তুলনায় এবারের বইমেলার প্রেক্ষাপট একদমই ভিন্ন। ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানকে নানাভাবে ফুটিয়ে তোলা হবে এবারের মেলায়। থাকবে জুলাই চত্বর নামে আলাদা একটি চত্বর। পহেলা ফেব্রুয়ারি বইমেলা উদ্বোধন করবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বইমেলায় জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের চেতনাকে মেলার বিভিন্ন জায়গায় ফুটিয়ে তোলা হবে। মেলার সাজসজ্জা ও বিভিন্ন চত্বরে তার প্রকাশ ঘটবে। মেলার রং হিসাবে লাল, কালো ও সাদাকে বেছে নেওয়া হয়েছে। লাল বিপ্লবের প্রতীক, কালো শোকের প্রতীক। এই দুটি রংয়ে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের যে আকাঙ্ক্ষা, সেটি তুলে ধরা হবে।
[31338]
ইতোমধ্যে বইমেলায় প্যাভিলিয়ন ও স্টল নির্মাণের জন্য লটারি অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ থেকে শুরু হবে পুরোদমে নির্মাণ কাজ। পহেলা ফেব্রুয়ারির আগ পর্যন্ত রাত-দিন চলবে হাতুড়ির শব্দ। যে কোনো মূল্যে সঠিক সময়ে মেলায় স্টল সম্পন্ন করতে হবে।
এবাররে বইমেলাকে পাঁচটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। ১৯৫২ সালে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের শহিদদের নামে হবে, সেই ভাগগুলো। জানা গেছে, গত বইমেলায় যে ডিজাইন ছিল, সেটিকে ভিত্তি করে আরও সহজে চলাচল করা সম্ভব, সহজে স্টলগুলোকে শনাক্ত করা সম্ভব, এমন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
বইমেলাকে ঘিরে দেশের লেখক, প্রকাশক ও পাঠকদের মধ্যে উচ্ছ্বাসের শেষ নেই। প্যাভিলিয়ন ও স্টল বরাদ্দের লটারি প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে, কোন প্রকাশনীর স্টল নাম্বার কত, তা জানিয়ে পোস্ট দেওয়ার অপেক্ষায় আছেন অনেকেই।
উচ্ছ্বাসের কমতি নেই লেখকদের মাঝেও। তারা এবারের বইমেলায় কোন প্রকাশনা থেকে তাদের কী বই আসছে, সে বিষয়ে জানান দেওয়া শুরু করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে পতন হয়েছে শেখ হাসিনার। বিনির্মাণের চেষ্টা চলছে এক নতুন বাংলাদেশের। এরই ধারাবাহিকতায় এবারের বইমেলায় আসছে নতুনত্ব।
আরবি/এসজে