বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক ড. সৈয়দ জামিল আহমেদের পদত্যাগপত্র সরকারের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে বলে জানিয়েছেন শিল্পকলা একাডেমির সচিব মোহাম্মদ ওয়ারেছ হোসেন। রোববার (২ মার্চ) সৈয়দ জামিলের পদত্যাগপত্রটি মন্ত্রণালয়ে পৌঁছে দেওয়ার পর এই কথা জানান তিনি।
এ সময় মোহাম্মদ ওয়ারেছ হোসেন বলেন, ‘আমি একাডেমিতে এসেছি মাত্র দেড়মাস হয়েছে। এই ঘটনাটা একটা ভুল বোঝাবুঝির কারণে হয়েছে বলেই মনে হয়। স্যারের সততা নিয়ে প্রশ্ন তোলা যাবে না।’
এদিকে শিল্পকলা একাডেমির এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানান, স্যারের ফিরে আসার সম্ভাবনা কম। তিনি আমলাতান্ত্রিক বিষয়গুলো অতটা খেয়াল রাখেন না। ফলে নাটকের দল ও ক্লাসরুমের আচরণ থেকে বের হয়ে আসতে না পারার কারণে বেশকিছু অসন্তোষ তৈরি হচ্ছিলো। তাদের উভয়ের মধ্যে ইগো সমস্যার বিষয়টিও লক্ষণীয়।
অসহযোগিতা ও ‘দুর্নীতির’ অভিযোগ এনে পদ থেকে বিদায় নিতে চাওয়া ড. সৈয়দ জামিল আহমেদের বিষয়টি দ্বিতীয় দিনেও মীমাংসা হয়নি। সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, যেহেতু সংস্কৃতি উপদেষ্টাও নিজের অবস্থান ফেসবুকে জানিয়েছেন, সেহেতু জামিল আহমেদের পদত্যাগপত্রের বিষয়ে সিদ্ধান্ত সরকারের। আমরা অপেক্ষা করছি।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি গত ১৫ বছর ধরেই ধুঁকছে। দীর্ঘদিন লিয়াকত আলী লাকি মহাপরিচালক থাকা ও দুর্নীতির একাধিক অভিযোগের পরও তার বীরদর্পে থাকা নিয়ে গণমাধ্যমে উপস্থিতি ছিল নেতিবাচক। জুলাই আন্দোলনের পরবর্তী সময়ে নতুন নেতৃত্বের হাত ধরে সেই জঞ্জাল দূর হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হলেও আবারও আলোচনায় আসাটা কতটা ইতিবাচক হবে– সময়ই বলে দেবে।