ঢাকা মঙ্গলবার, ০৪ মার্চ, ২০২৫

কবির কয়েকটি কবিতা

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মার্চ ৩, ২০২৫, ০৫:৪৭ পিএম
কবি: শাহ্ মাহফুজুর রাহমান 

মই ও মরাল/নরকঘরানার হাসি

প্রথমে

প্রভুবৃত্তের অংশ করি নিজেকে। অতপর

সম্ভাব্য কামড়ের লাগি উস্কাই।

দণ্ডাসন তো প্রস্তুত থাকছেই।

বাঁধানো দাঁত দুটি নাড়াচাড়া দিই। আর সেই নরকঘরানার হাসি— হাসি;

তেরছা সৌন্দর্য ভালো লাগে। একটু এলানো সুন্দর।

মনের দিক দিয়ে

পরিষ্কার থাকতে চাই। জরুরতমাফিক।

গানের চর্চাগুলি রকমারি ছন্দবোধে দুলুক...

লৌকিক ইতরামি অলংকার কিছুটা। গ্রাহ্য দিই।

জ্বরের জলম্যাসাজ বড়ই উপকারী। আমি

সেই

দৃশ্যটারে মনে রাখি শুধু। আর বিড়বিড়।

গর্দানফেরানো গালি

খাই,

দিই। এইটাও প্রকৃতির অংশ।

বন্দরের কাছেই কোথাও দাঁত বেঁচে ফিরি।

 

 

তাপারের রুহু


মার্জনা করুন!

একা থাকতে থাকতে ক্লান্তি নিছে খেয়ে।

জলের মধ্যে নূহের বিউগল। ছড়াতে পারছে না কৈতরের ঠ্যাঙ-

ভুলভাবে এরাবিক বাজছে সড়কে। ধরা সুরে।

নিয়ৎ পরিশুদ্ধ ভেবে

ছাগলেরা ঘাসে দিয়েছে- ভুলমুখ...

সবজিখেত আটপৌরে ভাষায় বাড়ছে, থলথলে

গুমঘরে-

৭৫ কিলোমিটার অন্ধকার। এর পরে তাজ্জব শীত..

দুপুর জুড়ে বিড়বিড়-ঘরানার রুসম। বাঁধা নিয়ম।

মার্জনা করুন!

গালিবের গজল গেয়ে পানি খেয়ে নিয়েছি।

আর কারা য্যানো

দু-পেগ মেরে দিয়েছে। গর্হিত জেনেও।

আই এম সাফসুতরা। মালপানি কিছুই গিলি না।

দৃশ্যমদ তেমন কিছু নয়।

যেটা দিয়ে সকাল-সন্ধ্যা পরিচ্ছন্ন থাকি।

 

 


সোমবারজনিত বিনয়

 

রং ধলা হইলো প্রথমে। গোস্তের দোকানে ভিড় করলো পড়শীরা-
ভোজবাজি রটলো স্ব-শোরে।
শনছাওয়া গাঁয়

বনভোজনের সময় হলো দূরে...

আসর নাচিয়ে ভোর করলো পতঙ্গ;

সান্ধ্যদিঘি গন্ধর্ব-চুম্বনে ভিজলো।

থরে থরে

ঝুলে রইল খুলি। পানপাত্র বিশেষ।

এবং সোমবারজনিত বিনয় অসহ নাড়ালো গতর-

কথাচাপা পড়ে

যুঝলো শিশুরা। বকওয়াস গলায়।

দরজায়

নীত হইলো কাউয়ার শরীর...গাঁথা—

 


শাহ্ মাহফুজুর রাহমান 
পড়ছেন এখনও। জন্ম/দেশের বাড়ি সুনামগঞ্জে। বেড়ে উঠা সিলেটে।
বর্তমানে ঢাকায় ‍‍`আরবি ভাষা ও সাহিত্য‍‍` নিয়ে পড়ালেখা করছেন।