অনুমেয় আয়ুর প্রতীক
মা বলেন অষ্টাশিতে তার নাকি জন্ম
ঝঞ্ঝার সময়,
হিসাব করে দেখলাম আমারও তখনি জন্ম।
নানিরও।
প্রকৃত প্রস্তাবে,
পৃথিবীর তখনই জন্ম আসলে।
মহাকালেরও।
আমরা ভ্রমের মধ্যে না থাকি যাতে সেজন্য আলাদা আলাদা দরজা বাতিক।
জন্মসাল খুলে বাবাও প্রবেশ করলেন সেই একই বছর।
অথচ তখনো আমরা চৌকাঠ ধরে,
কেউই জানতাম না পারস্পরিক বিপাক- বিচিত্র রন্ধন প্রক্রিয়া।
সে বছরই কিন্তু ঘূণপোকার আয়েশ করে আসন নেওয়া দরজার কাঠে।
এতোদিনে কতখানি কাটাকুটি তা ক্ষয় থেকেই বলে দেওয়া যায়
অনুমেয় এ আয়ুর প্রতীক ভাগশেষ।
বেলের সুবাস
ভালোবাসলে নাকি গাঁ থেকে বেলের সুবাস আসে। আমার ক্ষেত্রে আসছে না। খোঁজ লাগালাম, জ্যামে পড়লো নাকি মেয়েটা! গাঁ থেকে সুবাস আসছে এ খবর কিন্তু চাউর হয়ে গেলো পাড়ায়। সন্ধ্যায় মনে হয় এই চলে আসলো রাতের মেইলে। সকাল গেলে অপেক্ষায় একটু নিস্তাপ লাগতে থাকে। বেলের সুবাস হয়তো ধর্ম(!)ঘটে রেখে রেলেই আটকে আছে। কে বলতে পারে আজকাল! সবদিক থেকেই তো গোহারা; ভালোবাসার মাসোহারা হলো ব্যাঙ্কের আধুলি। ক্ষুধায় শহর বেগানা লাগবে তা জেনেই নিয়েছিলাম পৃষ্ঠপোষক। অথচ মেয়েটা আসছে না এখনো, ভালোবাসার এদিকে চতুর্থ সংস্করণ শেষ।
তুমি
ঠিক তোমার অহংবোধের মতোই
চাতুর্যের সাথে রং লুকানো দল-
গন্ধ বদলানো ধর্ম
তুমি-
ঠিক তোমার ঐকান্তিক বাসনার মতো,
ঐহিক ছত্রছায়ায় বেড়ে ওঠা বিষগুল্মের মতো।
ছাতিমতলার সোঁদায় তোমার স্মৃতিমূল
পুঁতে এসেছি সেই কবে!
আজ কতো বছর পর গিয়ে তোমার বর্ধিত রূপ পাই-
আর কতো ঘন ঘন পাল্টাবে তবে?
শহরে বিবর্তিত কোনো একাকি বকুলের গন্ধ-
এমনকি তোমার মনে কোনো দাগও কাটতে পারেনা,
কখনো বিষাদ আলোয় বিবাগী হওনি তুমি-
না কোনো ঝড়ে উতলা-
‘এখুনি করতে চাই একটা কিছু,
বলতে হবে খুব জরুরি’-ধরণের দোনোমনায়
কখনো পড়োনি,কস্মিনকালেও!
তুমি
ঠিক তোমার ঋণ করে রাখা আকরিক’র মতোই-
অভেদ্য, অতি পুরানো ও ঠাণ্ডা।
সুবাইতা প্রিয়তী’র কবিতা
আপনার মতামত লিখুন :