প্রতিরূপ
মানুষ হয়তো সামুদ্রিক—
ভেতরে ব্যথার নোনাজল
চাঁদের রাতে আছড়ে পড়ে বুকে
লু হাওয়ায় জাগে পানির নৈঃশব্দ্য
ভেজা বালি, পদচিহ্ন
মানুষ ভেতরে সামুদ্রিক
নইলে ঝিনুকে কেনো মুক্তা ফলে—
উপবন
তোমার আঁচল কামড়ে ধরেছে মৃগ
পাতার শাড়িতে আবৃত দেহের লাজ
বন-মালিনী কোমড়ে বেঁধেছো কি তৃণ?
বনের গহনে এ কোন বনের সাজ!
আমি তো শিকারী পিছু পিছু হরিণীর
অথচ নয়না লুকিয়েছে তোমা মাঝে
কোন যে মৃগের দেহে ছুড়ি প্রেম-তির
আমার মনের লালসা উঠেছে নেচে
হাতের ধনুক কেঁপে ওঠে আচানক
নয়ন তিরের ফলা লেগেছে কি হৃদে?
তুমি তো ছুড়েছো তীক্ষ্ণ মায়ার শায়ক
নিজের শিকারে নিজেই গিয়েছি গেঁথে
এমন ধনুক আছে কি গো দুনিয়াতে
বিষ-ফলা নিয়ে প্রেমের খিলাফে ওঠে—
কবিতা বিষাদ
বুকের ভেতর যে সামুদ্রিক সুবাস
প্রতিকূলে দু`চোখে মৃত-নদীর বেদনা—
কি হবে আধভাঙা আকাশ, অনাবৃষ্টি
পাতালজলের মতো এতো অপ্রাপ্তি নিয়ে বেঁচে...
যখন লাগাতার ঝড়ের রাতে
আলোছায়ার ভেতর হৃদয়ের কোনো প্রেমিকা নেই!
তখন কী চাইবো—
অর্থ-জিভ, না প্রণয়-সম্মোহ ?
কবি শৈবাল নূর এর কবিতা