ঢাকা শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫

বৈসাবি উৎসবে জুলাই অভ্যুত্থানের আবহ

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ১২, ২০২৫, ০৫:০২ পিএম
ছবি : সংগৃহীত

পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্যতম বৃহৎ সামাজিক উৎসব বিজু-বিষু শুরু হয়েছে। ‘বৈসাবি’ উৎসবকে কেন্দ্র করে সাংগ্রাইং র‌্যালি করেছেন পাহাড়ি জনপদের মানুষ। তাতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের নানা কর্মকীর্তি ও ফ্যাসিস্ট হাসিনার মুখায়ব নিয়ে হাজির হয়েছেন তারা। এমন কয়েকটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

শনিবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে ফেসবুক পোস্টের ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘পাহাড়ের ডাক’।

বৈসাবি র‌্যালির সামনের দিকে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার মুখায়ব, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’, ‘শহীদ আবু সাঈদ, মুগ্ধ, জুনান, রুবেল, অনিক, ধন রঞ্জন; রক্ত বৃথা যেতে দেব না’ সম্বলিত প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।

বান্দরবানে সাঙ্গু নদীর বুকে বাহারি রঙের ফুল ভাসিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্যতম বৃহৎ সামাজিক উৎসব বিজু ও বিষু।

বান্দরবান, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি—পার্বত্য জেলার ১১টি জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে বিজু ও বিষু সবচেয়ে বড় সামাজিক উৎসব। উৎসবকে কেন্দ্র করে পাহাড়ি জনপদে বইছে আনন্দের আমেজ। আজ শনিবার সকালে সাঙ্গু নদীর তীরে হাজারো চাকমা ও তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায়ের মানুষের মুখর উপস্থিতিতে এ উৎসকে বরণ করে নেওয়া হয়।

ভোর থেকেই ফুল সংগ্রহ করে কলাপাতায় সাজিয়ে নদীতীরে এসে জড়ো হয়েছেন তারা। পরে নদীতে ফুল ভাসিয়ে, মোমবাতি জ্বালিয়ে অতীতের ভুলভ্রান্তির জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন তারা। সুখ-শান্তি কামনা করেন নতুন বছরের জন্য।

১২ এপ্রিল নদীতে পূজা ও ফুল নিবেদনের মাধ্যমে শুরু হয় বিজু উৎসব। ১৩ এপ্রিল পালিত হয় মূল বিজু। ওইদিন ঘরে ঘরে নানা রকম খাবারের আয়োজন করা হয়। একে অপরের বাড়িতে নিমন্ত্রণ ছাড়াই যান।

১৪ এপ্রিল তরুণ-তরুণীরা গুরুজনদের গোসল করিয়ে তাদের আশীর্বাদ নেয়। একই দিনে ভিক্ষু-সংঘকে ‘ফাং’ (নিমন্ত্রণ) জানিয়ে ঘরের মঙ্গল কামনায় মঙ্গল সূত্র শোনে। চাকমা খাবারের মূল আকর্ষণ হলো ‘পাচন’ তরকারি—যা শতাধিক প্রকারের সবজি, মাছ ও শুঁটকি দিয়ে তৈরি করা হয়।