দেশীয় সংস্কৃতি ও দেশীয় বৈশিষ্ট্যে স্বাধীনসত্তায় বিকশিত হতে বাঙালিকে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে কাজ করছে ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ছায়ানট। ১৯৬১ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে গত ৬৩ বছর সংগীত-সংস্কৃতি ও সংস্কৃতি-সমন্বিত সাধারণ শিক্ষা নিয়ে কাজ করে চলেছে এই প্রতিষ্ঠানটি। ছায়ানট যেমন বিশ্ব সমাজের বিচিত্র সংস্কৃতির সুরভি আস্বাদন করে তার অংশী হতে চায়, তেমনই চায় বাংলা সংস্কৃতিকে নিজস্ব সামাজিক গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্বময় ছড়িয়ে দিতে। প্রযুক্তির সহযোগিতায় বাংলা সংস্কৃতি ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিদিন একটি করে কন্টেন্ট প্রকাশ করার উদ্যোগ নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
সেই উদ্যোগের অংশ হিসেবে বিজয়ের মাস ডিসেম্বরের প্রথম দিন থেকে প্রতি সকালে একযোগে ফেইসবুক, ইনস্টাগ্রাম, এক্স এবং ইউটিউব চ্যানেলে ছায়ানট একটি করে কন্টেন্ট প্রকাশ করা শুরু করেছে। রোববারের প্রথম কন্টেন্টটি ছিল জাতীয় সংগীত নিয়ে। এই আয়োজনের দৃশ্য ধারণে কণ্ঠ মিলিয়েছে সমমনা প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন নালন্দা, জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ, কণ্ঠশীলন ও ব্রতচারীর সহযোগিতায় হাজারো মানুষ।
ছয় দশকের ওপর পথচলায় ছায়ানট হাজার হাজার গানের সম্ভার গড়ে তুলেছে। সেসব গানের অডিও এবং সাম্প্রতিককালের ভিডিও থেকেই মূলত কন্টেন্টগুলো তৈরি হবে। তবে এই পরিকল্পনা প্রণয়ন করতেই সকল অনুষ্ঠান-আয়োজন ফেইসবুকে লাইভ করতে শুরু করেছে ছায়ানট।
লাইভ আয়োজনগুলোও একযোগে প্রচার করা হবে পরিকল্পিত সকল নতুন মাধ্যমে। নিয়মিত নতুন কন্টেন্ট প্রকাশ প্রতিদিন সকাল ৯টায়। প্রাথমিক এই আয়োজনের নাম ‘জাগরণী’। প্রতিষ্ঠানটি থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে ছায়ানটের জনসংযোগ বিভাগ।
আপনার মতামত লিখুন :