ঢাকা বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
চকলেট দিবস

আজ চকলেটের স্বাদে ডুবে যাওয়ার দিন

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুলাই ৭, ২০২৪, ০৯:৪৬ পিএম

আজ চকলেটের স্বাদে ডুবে যাওয়ার দিন

ছবি: সংগৃহীত

ফুল হাতে যদি প্রিয় মানুষটিকে এখনো ভালোবাসার কথা বলা না হয়ে থাকে, তাহলে চকলেটই হতে পারে আপনার জন্য সেরা উপহার। মিষ্টি সুস্বাদু এই ছোট্ট উপহারই প্রিয় মানুষের মুখে হাসি এনে দিতে বাধ্য।

আজ ৭ জুলাই, বিশ্ব চকলেট দিবস। চকলেট প্রেমীরা কীভাবে উদযাপন করছেন আজকের দিনটি? চকলেট খাবেন তো বটেই, উপহারও দেবেন, তাই না ?  

প্রিয়জনকে আমরা সবাই কমবেশি চকলেট উপহার দিয়ে থাকি। শুধু বড়দেরকে নয় ছোটদেরকেও তো ভালোবেসে চকলেট উপহার দিতে হয়। চকলেট যেমন অভিমান ভাঙাতে পারে, তেমনই পারে সম্পর্ককে আরও মধুর করতে।

৯ ফেব্রুয়ারি, ‘চকলেট’ দিবস পালন করা হয়। কিন্তু বিশ্বের কিছু ক্যালেন্ডার বলে ভিন্ন কথা। ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ৯ ফেব্রুয়ারি ছাড়া ৭ জুলাই ‘বিশ্ব চকলেট দিবস’ পালন করা হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১৩ সেপ্টেম্বরকে ‘ইন্টারন্যাশনাল চকলেট ডে’-এর মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। ব্রিটেনে ২৮ অক্টোবর দেশটির বাসিন্দারা ‘জাতীয় চকলেট দিবস’ পালন করে।

হালকা তেতো-মিষ্টি চকলেটের দিবস ১০ জানুয়ারি। দুধের স্বাদের চকলেট ডে’র জন্য ২৮ জুলাই। সাদা রঙের চকলেট ডে’র জন্য ২০ সেপ্টেম্বর। টুকরো টুকরো চকলেটের জন্য ১৫ মে। আইসক্রিম চকলেটের জন্য ৭ জুন এবং চকলেট মিল্ক সেকের জন্য ১২ সেপ্টেম্বর দেখা যায় বিশ্বের বিভিন্ন ক্যালেন্ডারে। এছাড়াও যেকোনো উপকরণ দিয়ে সাজানো চকলেট ডে’র জন্য ১৬ ডিসেম্বর।

স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী চকলেটে থাকা বিভিন্ন উপাদানসমূহ। প্রিয়জনকে চকলেট দেওয়ার আগে জেনে নিন কেন সঙ্গীকে চকলেট উপহার দেবেন-

ডার্ক চকলেট চেহারা ও শরীর ফিট রাখতে খুবই উপকারী ।

আপেলের তুলনায় পাঁচ গুণ ফ্ল্যাভনয়েড রয়েছে চকলেটে।

চকলেট খেলে কিন্তু হার্ট ভালো থাকে।

চকলেটে রয়েছে অনেক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব নারীরা গর্ভাবস্থায় বেশি চকোলেট খান তারা স্ট্রেসমুক্ত থাকেন। তার বুদ্ধিদীপ্ত, হাসিখুশি সন্তানের জন্ম দেন।

চকলেট খেলে স্ট্রেস কমতে শুরু করে। মনে প্রশান্তি আনে।

সূর্যরশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করার ক্ষমতা রয়েছে চকলেটের ফ্লাভনলে।

টানা তিন মাস চকলেট খেলে ত্বক রোদে পোড়ার হাত থেকে রক্ষা পায়।

 

চকলেটের রয়েছে কিছু মজাদার তথ্য। চলুন জেনে নেওয়া যাক তথ্যগুলো-

হার্সে চকলেটের নির্মাতা মিলটন হার্সের টাইটানিকে ভ্রমণ করার কথা ছিল। কিন্তু তা শেষ মুহূর্তে বাতিল হয়ে যায়। নাহলে হয়তো গোটা বিশ্বই চকলেটের সুস্বাদ থেকে বঞ্চিত হতো।

মানুষ প্রতিদিন হার্সের ৮ কোটি চকোলেট খায়।

যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিদিন চকোলেট তৈরির জন্য খরচ হয় ৩৫ লাখ পাউন্ড দুধ।

মার্কিনিরা প্রতিদিন ২৮ লাখ পাউন্ড ক্যান্ডি খায়। এর মধ্যে অর্ধেকই কিন্তু চকোলেট।

সমগ্র পৃথিবীতে উৎপন্ন অ্যালমন্ডের ৪০ শতাংশ চকোলেট তৈরির কাজে ব্যবহার করা হয়।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় চকলেট বারের ওজন ১২,৭৭০ পাউন্ড।

একটি ছোট চকলেটের চিপস ১৫০ ফুট রাস্তায় চলার শক্তি দিতে পারে।

চকলেট খেলে মুখে ব্রণ, একজিমা, ত্বকে অবাঞ্চিত দাগ থেকে মুক্ত থাকা যায়।

Link copied!