শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


চট্টগ্রাম ব্যুরো

প্রকাশিত: এপ্রিল ২৫, ২০২৫, ০৮:১২ এএম

মাতারবাড়ি প্রকল্প শেষ হলে  চট্টগ্রাম হবে: সিঙ্গাপুরবন্দর চেয়ারম্যান

চট্টগ্রাম ব্যুরো

প্রকাশিত: এপ্রিল ২৫, ২০২৫, ০৮:১২ এএম

মাতারবাড়ি প্রকল্প শেষ হলে  চট্টগ্রাম হবে: সিঙ্গাপুরবন্দর চেয়ারম্যান

বন্দরের ১৩৮তম বন্দর দিবস উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন

বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্ট এবং বিনিয়োগ সম্মেলন সফলভাবে শেষ হওয়ায় নতুন নতুন বিনিয়োগ আসতে শুরু করেছে। প্রতিযোগীতামূলক বাজারে এই বিনিয়োগ সামলাতে হলে বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। মাতারবাড়ি গভীর বন্দরে টার্মিনাল ও বে টার্মিনাল শেষ হলে  চট্টগ্রাম হবে সিঙ্গাপুর বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম মনিরুজ্জামান। 

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল)  দুপুরে বন্দরের ১৩৮তম বন্দর দিবস উপলক্ষে শহীদ মো. ফজলুর রহমান মুন্সী মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

১৩৮তম বন্দর দিবসে সম্ভাবনার নতুন এক দোয়ার খুলার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম মনিরুজ্জামান আরও বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। দেশের প্রবৃদ্ধির মূল চালিকা শক্তি চট্টগ্রাম বন্দর।  

তিনি বলেন, পাঁচ বছর পর ৫ মিলিয়ন টিইইউস কনটেইনারে হ্যান্ডলিং করতে হবে। মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দরে টার্মিনাল ও বে টার্মিনাল নির্মাণে চুক্তি হয়েছে। এ মাস দেশ ও বন্দরের জন্য সৌভাগ্যের। ২০২৯ সালে মাতারবাড়ী সমুদ্র বন্দর অপারেশনে চলে যাবে। বন্দর ও কাস্টমসকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। 
মাতাবাড়ি গভীর বন্দরে টার্মিনাল ও বে টার্মিনাল শেষ হলে, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার হবে সিঙ্গাপুর। বিনিয়োগকারী প্রস্তুত। নিরাপত্তা, আস্থা, সুন্দর পরিবেশ চায় তারা। মেরিটাইম ও পোর্ট সিকিউরিটি নিয়ে নিশ্চিন্ত হতে চায়।  

বন্দর চেয়ারম্যান জানান, ই টিকিটিং চালু করায় সব সিস্টেমে চলে আসছে। মেরিটাইম সিঙ্গেল উইন্ডো চালু করছি। এতে বহির্বিশ্বে ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে। পেমেন্ট ডিজিটাল হয়ে যাবে। ডিজিটালাইজেশন ও ডি কার্বোনাইজেশনের বিকল্প নেই। জুনের মধ্যে বন্দরের পুরো কার্যক্রম অটোমেশন করে ফেলব। গ্রিন মেরিটাইম করিডোর হবে চট্টগ্রাম বন্দর। মাতারবাড়ী, বে টার্মিনাল, লালদিয়া হবে গ্রিন পোর্ট। এ টার্মিনালগুলো চালু হলে নতুন শিপিং রুট খুলে যাবে।  

ফ্রি ট্রেড জোন নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা করতে পারলে দারুণ সম্ভাবনা তৈরি হবে। বছরে ১০-১২ বিলিয়ন ডলার আয় হবে। আমরা এক নম্বর তুলা ব্যবহারকারী দেশ। ফ্রি ট্রেড জোন হলে তুলা খাতে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে। বিমানবন্দর, সমুদ্রবন্দর, শিল্পাঞ্চল থাকায় এ জোন চট্টগ্রামে হওয়া যৌক্তিক।  

বন্দরে ইউএস এইডের অর্থায়নে রেফার কনটেইনার ইয়ার্ড ও কোল্ড স্টোরেজ তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান বন্দর চেয়ারম্যান।  

তিনি জানান, বে টার্মিনাল হলে টানেলের ব্যবহার বেড়ে যাবে। ৬৬৩ জনকে পদোন্নতি এবং ৩৬৩ জন নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি বন্দর যাতে ব্যবহারবান্ধব হয়। ১৬ মিটার ড্রাফট মেইনটেইনের উপযোগী দুইটি ড্রেজার কিনবে বন্দর।

Link copied!