ঢাকা রবিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৫

‘ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধাবস্থা দেশের বাণিজ্যের জন্য উদ্বেগজনক’

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ২৬, ২০২৫, ০৪:৪০ পিএম
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বর্তমানের যুদ্ধ পরিস্থিতি দেশের জন্য ভালো নয় বলে মন্তব্য করেছেন গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান  । 

শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাজধানীর চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের (এফডিসি) একটি মিলনায়তনে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে শিক্ষার্থীদের বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথি হিসেবে প্রশ্নের উত্তরে তিনি এমন মন্তব্য করেন। 

দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগের জন্য বড় শঙ্কার কারণ না হলেও উদ্বেগের বলে মনে করছেন অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান।

তিনি বলেন, ‘পরমাণু শক্তির অধিকারী দুটি দেশের মধ্যে যুদ্ধাবস্থা তাদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নাও থাকতে পারে।’

এ অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘ভারত-পাকিস্তানের উত্তেজনা আঞ্চলিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। সার্ক দীর্ঘদিন ধরে তেমন সক্রিয় নয়। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা সার্কের মাধ্যমে আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়ানোর চেষ্টা করছেন। এরই মধ্যে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।’

তিনি আশা করেন, অতীতের মতো এবারও আলোচনার মাধ্যেম সংকট এড়ানো যাবে।

মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘ভারত থেকে বাংলাদেশ বড় অংকের পণ্য আমদানি করে। সে দেশে আমদানির তুলনায় রপ্তানি কম। ভারতের বাজারে পণ্য রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা পায় বাংলাদেশ।’

‘সে দেশে রপ্তানি এক বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাতে বাংলাদেশের ৪০ বছর লেগেছিল। পরের ৭ বছরে দুই বিলিয়ন ডলারে পৌঁছায়। বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারত যদি সামরিক খাতে বেশি মনোযোগী হয়, তাহলে তাদের বাণিজ্য প্রভাবিত হতে পারে, যার প্রভাব বাংলাদেশের ওপরেও পড়তে পারে।’

তিনি বলেন, ‘বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি শেষ কথা নয়। বিনিয়োগ আনতে হলে সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। কোনো কারণে নির্বাচন বিলম্বিত হলে তা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা তৈরি করতে পারে।’

‘সাম্প্রতিক বিনিয়োগ সম্মেলন বিদেশি বিনিয়োগের সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে’- বিষয়ে ছায়া সংসদ নামের বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিরোধীদলের ভূমিকায় থাকা ইডেন কলেজের দল জয়ী হয়।

সরকারি দলে ছিলেন, ঢাকা কলেজের বিতার্কিকরা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।