মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৫, ০৭:৩৭ পিএম

banner

প্রতিদিন ৫ হাজার ২২৬ কোটি টাকা লেনদেন

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৫, ০৭:৩৭ পিএম

প্রতিদিন ৫ হাজার ২২৬ কোটি টাকা লেনদেন

ফাইল ছবি

মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেনের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে গত নভেম্বরে। এক মাসে ১ লাখ ৫৬ হাজার ৭৮৭ কোটি টাকার লেনদেন হয়। এই লেনদেন ২০২৩ সালের একই সময়ের তুলনায় ৩১ শতাংশ বেশি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

আলোচ্য মাসে প্রতিদিন ৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি লেনদেন হয়েছে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে। সরকারবিরোধী আন্দোলনের প্রভাবে চলতি অর্থবছরের শুরুতে অর্থাৎ জুলাই-আগস্ট মাসে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেন কম হলেও সে ধাক্কা কাটিয়ে উঠে নভেম্বরে অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যায়। 

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, গত বছরের জুলাই মাসে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে লেনদেন হয়েছিল ১ লাখ ২২ হাজার ৯২২ কোটি টাকা। আর নভেম্বর মাসে ১ লাখ ৫৬ হাজার ৭৮৭ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। দৈনিক ৫ হাজার ২২৬ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে এ মাসে। অর্থাৎ ২০২৪ সালের মার্চ মাসের রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হলো এ লেনদেনের মাধ্যমে। কারণ এর আগে ২০২৪ সালের মার্চে সর্বোচ্চ লেনদেন ছিল ১ লাখ ৫৩ হাজার ৭৫৮ কোটি টাকা। 

দেশের প্রান্তিক পর্যায়ে ও তাৎক্ষণিক আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (এমএফএস) বা মোবাইল আর্থিক সেবা। শুধু অর্থ পাঠানোই নয়, অনেক নতুন সেবাও মিলছে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে। বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির বিল পরিশোধ, কেনাকাটার বিল পরিশোধ, বেতন-ভাতা বিতরণ, বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোসহ (রেমিট্যান্স) বিভিন্ন সেবা দেওয়া হচ্ছে। দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে মাধ্যমটি। 

দেশে বর্তমানে বিকাশ, রকেট, নগদসহ ১৩টি এমএফএস সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধিত অ্যাকাউন্ট ২৩ কোটি ৭৩ লাখ ১৩ হাজার  জন। কিন্তু এক মাস আগেও নিবন্ধিত গ্রাহক সংখ্যা ছিল ২৩ কোটি ৫৭ লাখ। অর্থাৎ এক মাসে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নতুন করে ১৬ লাখ গ্রাহক যুক্ত হয়েছে। কিন্তু আন্দোলনের সময় অর্থাৎ জুলাই মাসে এ গ্রাহকের সংখ্যা ছিল ২৩ কোটি ৩১ লাখ ২৭ হাজার। 

নভেম্বর মাসে ক্যাশ ইন হয়েছে ৪৪ হাজার ৯৫৭ কোটি টাকা। উত্তোলন (ক্যাশ আউট) হয়েছে ৫০ হাজার ৫৩০ কোটি টাকা। এ ছাড়া নভেম্বর মাসে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ইউটিলিটি বিল পরিশোধ করা হয়েছে ২ হাজার ৮৪১ কোটি টাকা, বেতন-ভাতা দেওয়া হয়েছে ৪ হাজার ৬৩২ কোটি, মার্চেন্ট পেমেন্ট বা পণ্য কেনাকাটায় ৭ হাজার ৭৭৫ কোটি ও রেমিট্যান্স এসেছে ১ হাজার ৭৭ কোটি টাকার। 

২০১০ সালে মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০১১ সালের ৩১ মার্চ বেসরকারি খাতের ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালুর মধ্য দিয়ে দেশে এমএফএস যাত্রা শুরু হয়। এরপর ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে মোবাইল ব্যাংকিংসেবা চালু করে বিকাশ। বর্তমানে দেশে মোবাইল ব্যাংকিং সেবার বেশির ভাগই বিকাশের দখলে। এরপর ‘নগদ’-এর অবস্থান।

 জানতে চাইলে বিকাশের হেড অব করপোরেট কমিউনিকেশন্স শামসুদ্দিন হায়দার ডালিম বলেন, বিকাশ এরই মধ্যে অনেক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করেছে। এ কারণে মানুষ এখান থেকে অনেক ধরনের সেবা পাচ্ছে। আমরা ক্যাশলেস বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করছি। এ ছাড়া ডিজিটাল লেনদেনের যেই ইকু সিস্টেম, তা দিন দিন বড় হচ্ছে। এমএফএস প্রোভাইডাররা এখন নতুন নতুন সেবা যুক্ত করছে। 

যে গ্রাহক আগে এক-দুটি ট্রানজেশন করতেন সেবা বৃদ্ধির কারণে, তারা নতুন নতুন সেবা গ্রহণ করছেন। নতুন নতুন মার্চেন্ট যুক্ত হচ্ছেন আমাদের সঙ্গে। দেশে অনলাইন ব্যবসার বিস্তার ঘটছে। তার প্রভাবও পড়ছে। ব্যাংকগুলো আমাদের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। সব মিলিয়ে গ্রাহকেরা এখন ক্যাশলেস লেনদেনের দিকে ঝুঁকছেন।
 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!