ঢাকা শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

উৎপাদক থেকে ভোক্তার দামে বড় ব্যবধান থাকবে না: বাণিজ্য উপদেষ্টা

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১, ২০২৪, ০৭:১১ পিএম

উৎপাদক থেকে ভোক্তার দামে বড় ব্যবধান থাকবে না: বাণিজ্য উপদেষ্টা

ছবি: সংগৃহীত

বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বর্তমানে দেশে ডিম ও মুরগির ক্ষেত্রে উৎপাদক ও ভোক্তা পর্যায়ে পণ্যের দাম কমিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রোববার (১ সেপ্টেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে পোল্ট্রি খাত সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিদলের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে তিনি এ কথা জানান।

তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের আমরা যদি উজ্জীবিত না করতে পারি, তাহলে আমাদের সত্যিকারের উন্নয়ন হবে না। সেজন্য আমার প্রায় সব খাতের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলছি। এরমধ্যে আমরা নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য, বিশেষ করে পোল্ট্রি খাতের ডিম, মুরগি ও এর বাচ্চার দাম কিভাবে কমানো যায় সে বিষয়ে আলোচনা করেছি। ডিম ও মুরগির উৎপাদন কিছুটা ব্যাহত হয়েছে, তবে উৎপাদন স্বাভাবিক গতিতে ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন পোল্ট্রি খাতের ব্যবসায়ীরা।

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, দেশের ছোটবড় উৎপাদক থেকে শুরু করে বিপণনকারী ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। তারা জানিয়েছেন, পোল্ট্রির উৎপাদন পর্যায়ে কিছুটা সমস্যা আছে। তারপর বড় উৎপাদনকারীরা বলেছেন তারা উৎপাদন এখন বাড়াবেন।

তিনি বলেন, বিপণন পর্যায়ে আমরা বলেছি, উৎপাদন খরচের বাইরে অস্বাভাবিক মুনাফা করা যাবে না। উৎপাদনকারী ও ভোক্তার মধ্যে দামের বিরাট ব্যবধান থাকবে না। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও প্রতিযোগিতা কমিশন আছে, তারা এ বিষয়টা দেখবে।

সিন্ডিকেট নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ব্যবসায়ীদের স্বভাব হয়ে গেছে, তারা একটু বাড়তি মুনাফার চেষ্টা করে সবসময়। কথায় আছে না, তারা ইল মাছের মতো, ধরা কঠিন। পিছলে যাচ্ছে। তবে এখন থেকে এগুলো ধরা সম্ভব হবে।

ডিম ও মুরগির দাম বেঁধে দেওয়া প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, বেশি সমস্যা হলে ডিম ও মুরগির দাম বেঁধে দেওয়া যেতে পারে। প্রয়োজনে সেটি কৃষি বিপণন অধিদপ্তর করবে। ট্যারিফ কমিশন আছে, তাদের সহযোগিতা নিতে পারে।

সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা ব্যবসায়ীদের বলেছি, এখন তেলের দাম কমেছে, আপনাদের পরিবহন খরচ কমে যাবে। জিনিসপত্রের দাম নামতে হবে। বাংলাদেশে একবার দাম উঠলে আর নামে না, সেটা হবে না।

নতুন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর পণ্যমূল্য পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে এ উপদেষ্টা বলেন, এখন যে পণ্যমূল্য, তা খুব যে খারাপ সেটা বলা যাবে না। আমরা মোটামুটি সন্তোষজনক অবস্থায় নিয়ে এসেছি। এটাকে আরও সুখকর করা যায় কি না সে চেষ্টা করা হচ্ছে।

আরবি/এফআই

Link copied!