ঢাকা: ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর প্রকাশ্যে এসেছে দেশের অর্থনীতির ভঙ্গুর অবস্থা। খেলাপি ঋণে রেকর্ডের পাশাপাশি রাষ্ট্রের দেশি-বিদেশি ঋণে মন্থর অর্থনীতির গতি।
তবে ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর মাসখানেকের মধ্যে ব্যাংক খাতের সংস্কার ছাড়াও রাজস্ব ব্যবস্থায় গতি আনা, শ্বেতপত্র প্রকাশসহ নানা বিষয়ে দৃশ্যমান পদক্ষেপ এসেছে।
সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান বলছে, গেল দেড় দশকে রাষ্ট্রের দেশি-বিদেশি ঋণ ছাড়িয়েছে ১৮ লাখ কোটি টাকা। আর ব্যাংক খাতের খেলাপি ছাড়িয়েছে ২ লাখ ১১ হাজার কোটি টাকা। অন্যদিকে, গত দুই বছরে মূল্যস্ফীতির কারণে দ্রব্যমূল্যও আকাশচুম্বী। আবার এই সময়ে রপ্তানি আয়ও কমেছে ৬ শতাংশ।
এমন বাস্তবতায় ভেঙে পড়া প্রতিষ্ঠান আর রাষ্ট্র ব্যবস্থার সংস্কারে নানামুখী চ্যালেঞ্জ অন্তর্বর্তী সরকারের সমানে। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও অর্থনীতিবিদ হোসেন জিল্লুর রহমানের মতে, বর্তমান প্রেক্ষাপটে কিছুতেই পিছপা হওয়া যাবে না।
এই অর্থনীতিবিদ বলেন, আমাদের সফল হতেই হবে, এমন মনোভাব মাথায় রাখতে হবে। সম্পদের স্বল্পতা, ঋণের ভার সবকিছু মাথায় রেখেই কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। সেই সঙ্গে অর্থনীতি ব্যবস্থাপনার বিষয়টি মানুষকেও জানাতে হবে।
একই মত অর্থনীতিবিদ জায়েদি সাত্তারের। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ অবশ্যই অতীতের চেয়ে ভালো হতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর আমরা অর্থনীতির দিক পরিবর্তনের সুযোগ পেয়েছি।
তবে বর্তমান বাস্তবতায় অর্থনীতির সুফল পেতে মূল্যস্ফীতি ও কর্মস্থানে দ্রুত পরিবর্তন আনতে হবে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি ও কর্মস্থানের ক্ষেত্রে যদি দ্রুত পরিবর্তন আনা যায়, বিশেষ করে ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনতে পারলে নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হবে। সেই সঙ্গে ডিজিটাল ইকোনমির ক্ষেত্রেও পরিবর্তন আনা সম্ভব হলে এটিও সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাবে।
আপনার মতামত লিখুন :