আগের দিন ২৭ কোম্পানিকে ‘জেড’ শ্রেণিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত বিনিয়োগকারীদের ভীত করে তুলেছে; একদিনেই দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক কমেছে প্রায় ১০০ পয়েন্ট।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবারে ডিএসই’র প্রধানসূচক কমেছে ৯৭ পয়েন্ট। লেনদেনও কমেছে আগের দিনে চেয়ে ২৫০ কোটির বেশি। এসময় দর হারিয়েছে ৭৫ ভাগ কোম্পানির শেয়ার। অন্যদিকে চট্টগ্রাম শেয়ারবাজারে সার্বিক সূচক কমেছে ২০৮ পয়েন্ট।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ২৭ কোম্পানিকে এ ও বি থেকে জেড ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ। সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির নির্দেশে এসব কোম্পানির ক্যাটাগরি পরিবর্তন করা হয়েছে। এরই প্রভাবে বৃহস্পতিবার বড় দরপতন ঢাকার শেয়ারবাজারে। আলোচিত কোম্পানিগুলোর মধ্যে শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ ছাড়া বাকী সব কোম্পানির শেয়ার দর হারিয়েছে।
বৃহস্পতিবার দিনের শুরুতে কিছুটা ইতিবাচকই ছিল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ। প্রথম ১০ মিনিটেই প্রধান সূচক বাড়ে ৩৬ পয়েন্ট। এরপর শুরু হয় সূচকের উথান পতন। দিন শেষে ডিএসইএক্স সূচক কমেছে ৯৭ দশমিক তিন সাত পয়েন্ট, অবস্থান করছে ৫ হাজার ৬৩৯ পয়েন্টে। সূচকের সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণও। বৃহস্পতিবার মোট লেনদেন হয় ৫৩০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। আগের দিনের চেয়ে লেনদেন কমেছে ২৬৬ কোটি ৮ লাখ টাকা।
হাতবদলে অংশ নেওয়া ৩৯৬ টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর কমেছে সাড়ে ৭৫ ভাগ কোম্পানির শেয়ার। এর মধ্যে বেড়েছে মাত্র ৭২টির, কমেছে ২৯৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দর। সবচেয়ে বেশি লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানের তালিকায় প্রথম সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, দ্বিতীয় ইসলামী ব্যাংক এবং তৃতীয় অবস্থানে গ্রামীণফোন।
শতাংশের দিক থেকে দর বৃদ্ধির তালিকায় প্রথম অবস্থানে ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, দ্বিতীয় ইউনিয়ন ব্যাংক এবং তৃতীয় গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে সার্বিক সূচক কমেছে ২০৮ দশমিক এক সাত পয়েন্ট। লেনদেন হয় ১৩ কোটি ৩২ লাখ টাকার শেয়ার।
আপনার মতামত লিখুন :