বরুড়া উন্নয়ন ফোরামের মানবতার কল্যাণে মুহাম্মদ (সা.) আলোচনা অনুষ্ঠিত

বরুড়া উন্নয়ন ফোরাম, ঢাকা ‘র উদ্যোগে ২রা নভেম্বর, শনিবার ঢাকার সার্কিট হাউজ রোডস্থ ডিএফপি মিলনায়তনে "মানবতার কল্যাণে রাসুল (স.)" শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট ইসলামীক স্কলার প্রফেসর ড. আ ক ম আবদুল কাদের। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই এর সাবেক পরিচালক, বিশিষ্ট শিল্পপতি ও হক‍‍`বে- এর পরিচালক আব্দুল হক। প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মাজলিসুল মুফাসসিরীনের সিনিয়র সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা ফখরুদ্দিন আহমেদ।

বেনজির বাগান জামে মসজিদের খতিব শায়েখ এমদাদ উল্লাহর দারসুল কোরআনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।

প্রধান আলোচক মাওলানা ফখরুদ্দিন আহমেদ বলেন, রাসুল (সা.) এসেছিলেন ইসলামকে বিজয়ী করার জন্য। ইসলাম এসেছে মানবতার জন্য যেখানে সকল মানুষ নিরাপদে বাস করবে। যারা বিচারকের আসনে বসে অন্যায় বিচার করেছেন আজ তাদেরকে জাতি ধিক্কার দিয়েছে তাদের আশ্রয় হয় কলাপাতায়, এদের থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামী দিনে বিচারকদের চলতে হবে নাহলে তাদের পরিণতিও এমন হবে।

এই দেশে কখনো কোনো ইসলামপন্থি দল অমুসলিমদের উপর হামলা করে না, জায়গা দখল করে না, করে তারাই যারা রাজনীতিকে তাদের দুর্নীতির পাহাড় বানিয়ে রাখে তারা জনগণের সেবার নামে  লুটপাট করে।

তিনি বলেন, রাসুলকে প্রেরণ করেছেন হেদায়াত ও সত্য দ্বীনসহ সকল দ্বীনের উপর তাকে বিজয়ী করার জন্য। রাসুলুল্লাহ (সা.) সেই দায়িত্ব সফলভাবে আঞ্জাম দিয়েছেন।

অন্ধকারে ডুবে থাকা জাতিকে হেদায়াতের আলোকসজ্জায় উদ্ভাসিত করেছেন। সত্য ও সুন্দরের প্রচারে অগ্রণী ও অতুলনীয় ভূমিকা রেখেছেন। সকল মতাদর্শের উপর ইসলামকে শ্রেষ্ঠ ও বিজয়ী হিসেবে আত্মপ্রকাশের ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিয়েছেন।

প্রধান অতিথি প্রফেসর ড. আ ক ম আব্দুল কাদের বলেন, অনেকে বলে এই রাষ্ট্র বিপ্লব করে কী পেল? তাদেরকে আমি বলি, এখন যে খোলা ময়দানে আমরা ইসলামের কথা বলতে পেরেছি আলোচনা করতে পেরেছি, মানুষ তার বাক স্বাধীনতা পেয়েছে, বিগত সরকার যুবকদেরকে জেলে ডুকিয়েছে সেই যুবক হারিয়েছে তার যৌবনকাল, হারিয়েছে ঘর-বাড়ি, বাড়িতে আসতে দেয়নি, এছাড়াও তিনি রাসুলুল্লাহ (সা.) এর জীবনি সম্পর্কে বক্তব্য দেন।

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশিষ্ট শিল্পপতি ও হক‍‍`বে- এর পরিচালক আব্দুল হক বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্ররা বৈষম্যমুক্ত একটা সমাজ আমাদেরকে দিয়েছে, যেটাকে বিশ্বের গণমাধ্যমে দ্বিতীয় বিজয় বলেছেন।

এই বিপ্লবকে বহু দূর নিয়ে যেতে হবে, বিগত সরকার শিক্ষা, ব্যবসা, অর্থনীতি ধ্বংস করে দিয়েছেন। অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চলচ্চিত্র  সেন্সর সার্টিফিকেট বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল।
আব্দুল্লাহিল কাফি মামুনের সঞ্চালনায় ও গোলাম কিবরিয়ার সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন মাওলনা মুফতি মোস্তফা, ডক্টর আব্দুল বারী, ফখরুদ্দিন, মো. কেফায়েত উল্লাহ, মো. মোতাহার হোসেন, মাস্টার মো. জুনাব আলী ভূঁইয়া, মো. হুমায়ুন কবির, মো. মোজাম্মেল হক ভূঁইয়া, অধ্যাপক মফিজুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার একরামুল হক, লুৎফর রহমান, ডা. মো. শহীদ উল্লাহ, মাওলানা মোহাম্মদ শাহাদাত হোসাইন, আব্দুল মোমিন পাটোয়ারী, মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, ফজলুল কাদের চৌধুরী, মো. গোলাম ছরওয়ার, দেওয়ান মাঈনুদ্দীন, শাইখ এমদাদ উল্লাহ, মাওলানা মাসুক রেজা প্রমুখ।