সেন্টার ফর পিপল এন্ড এনভারন (সিপিই)-এর সহযোগিতায় ২ নভেম্বর আয়োজিত হয় জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক দ্বিতীয়তম সাউথ এশিয়ান কনফারেন্স।
শনিবার সকাল ১০টায় বাংলাদেশ প্রেস ইন্সটিটিউটে অনুষ্ঠিত এই কনফারেন্সে বক্তব্য রাখেন-সিপিই এর পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুর রহমান রানা। তিনি বলেন, দক্ষিণ এশীয়ান জলবায়ু সম্মেলনের উদ্দেশ্য দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর যুবদের জলবায়ু গবেষণায় দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এখানকার জলবায়ু সহিষ্ণুতা অর্জনে ভূমিকা রাখা। তারই ধারাবাহিতায় আমরা এ বছর আন্তর্জাতিক মানের ক্লাইমেট সায়েন্স ও পলিসি নামে একটি জার্ণাল প্রকাশ করেছি যেখানে স্থান পেয়েছে প্রথম সম্মলনে অংশগ্রহণকারীদের গবেষণা। আমরা প্রতিষ্ঠা করেছি সাউথ এশিয়ান গবেষকদের নেটওয়ার্ক "সাউথ এশিয়ান রিসার্চ হাব"। এই হাব যুব গবেষকদের দক্ষতা উন্নয়নে নানা প্রশিক্ষণ, প্রকাশনা করে যাচ্ছে।
কনফারেন্সে সিপিই এর বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ মনরুল কাদের মির্জা বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার প্রায় সকল্প খাতই বিরূপ আবহাওয়ার কারণে ঝুকিপূর্ণ।
তিনি জানান, ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী কোনো দেশই জলবায়ু পরিবর্তন সমস্যার বাহিরে নয়।
তিনি বলেন, আগামী ৭৫-১০০ বছরে কী হবে তা বিবেচনা করে আমাদেরকে দুর্যোগ এবং তার ক্ষয়ক্ষতি কমানোর ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ড. শিলাদত্ত চ্যাটার্জি। তিনি বলেন, দুটি দেশ একত্রে কাজ করলে এডিপি প্রায় ৪ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে।
এসময় ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. জয়ন্ত চৌধুরী বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও নেপালের সাথে সমন্বয় করে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। এছাড়া বক্তব্য রাখেন শামিনারা বেগম, দেবরাজ দে প্রমুখ।
২ দিন ব্যাপী এই কনফারেন্স দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর পরিবেশ এবং জলবায়ু নিয়ে বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :