জলবায়ুর পরিবর্তনে নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় বিশ্বের সকল দেশের জন্য জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার বন্ধে একটি নির্ধারিত সময়সীমা নির্ধারণের দাবি করেছে সিপিআরডির নেতৃত্বাধীন ৪০টি নাগরিক সংগঠন এবং উন্নয়ন সহযোগী সংগঠনের জোট ‘ক্লাইমেট জাস্টিস অ্যালায়েন্স-বাংলাদেশ’।
একই সঙ্গে ২০২৫ সালের মধ্যে লস অ্যান্ড ড্যামেজ তহবিল বার্ষিক ৪০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীতকরা এবং ধীরে ধীরে সেটি ১ থেকে ২ ট্রিলিয়ন ডলারে রূপান্তরের দাবি করেছেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব দাবি তুলে ধরা হয়। এ সময় আসন্ন জলবায়ু সম্মেলন (কপ ২৯) উপলক্ষে নাগরিক সমাজের বক্তব্য ও বিভিন্ন দাবি সম্বলিত একটি পজিশন পেপার উপস্থাপন করা হয় সেখানে।
অ্যালায়েন্সের পক্ষ থেকে সমঝোতা সম্মেলন ২৯-এর কাছে বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধিকে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে রাষ্ট্রসমূহকে আপডেটেড এনডিসি-৩ প্রণয়নে একটি স্বচ্ছ এবং সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত প্রণয়নের দাবি করে বলা হয়, স্বল্পউন্নত ও উন্নয়নশীল দেশসমূহের এনডিসি-৩ প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে যথাযথ আর্থিক, প্রযুক্তিগত ও কারিগরি সহায়তা প্রদান করতে হবে। পাশাপাশি জাস্ট ট্রানজিশনের ব্যবস্থাপনা নীতিমালা (ম্যানেজমেন্ট পলিসি) এবং স্বচ্ছ সংজ্ঞায়নের দাবি জানানো হয়েছে।
‘ট্রাম্পই জিতছেন’ ভবিষ্যদ্বাণী করে ভাইরাল জলহস্তী‘ট্রাম্পই জিতছেন’ ভবিষ্যদ্বাণী করে ভাইরাল জলহস্তী
অ্যালায়েন্সটির সমন্বয়কারী এবং সিপিআরডি-এর প্রধান নির্বাহী মো. শামসুদ্দোহা অ্যালায়েন্সটির পক্ষ থেকে দাবিসমূহ উপস্থাপন এবং ব্যাখ্যা প্রদান করেন। এ ছাড়া তিনি আসন্ন সমঝোতা সম্মেলন ২৯-এর বিভিন্ন এজেন্ডার ওপর আলোকপাত করেন।
তিনি বলেন, আগামী ১১ থেকে ২২ নভেম্বর ২০২৪, আজারবাইজানের বাকু শহরে কপ ২৯-এর সমঝোতা সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হবে পূর্ববর্তী সম্মেলনের ধারাবাহিকতায়। আমরা প্যারিস জলবায়ু চুক্তি এবং সমঝোতা সম্মেলনের বিভিন্ন চুক্তিগুলো বাস্তবায়নে বাস্তবায়নযোগ্য সিদ্ধান্ত চাই (ইনফোর্সেবল আউটকামস)।
তিনি বৈশ্বিক লস অ্যান্ড ড্যামেজ তহবিল বার্ষিক ১০০ বিলিয়ন ডলারের স্থলে প্রয়োজন ভিত্তিক এবং ক্ষয়ক্ষতির আলোকে নতুন বর্ধিত লক্ষ্যমাত্রার দাবি করেন। এ ছাড়া জলবায়ু অর্থায়নের ক্ষেত্রে অধিক পরিমাণে এবং মানসম্মত অর্থায়নের দাবি জানান।
সংবিধান সংস্কার কমিশনের ওয়েবসাইট চালুসংবিধান সংস্কার কমিশনের ওয়েবসাইট চালু
পাশাপাশি তিনি জেন্ডার রেসপন্সিভ জলবায়ু অ্যাকশন পরিকল্পনা তৈরিকরণ এবং স্বতন্ত্র জলবায়ু উদ্বাস্তুদের জন্য সংজ্ঞা, স্বতন্ত্র নীতি কাঠামো প্রণয়নের প্রস্তাব করেন।
ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টও তালহা জামাল বলেন, জলবায়ু ন্যায্যতা নিশ্চিতকরণে নাগরিক সমাজের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে, সিপিআরডির নেতৃত্বে ‘ক্লাইমেট জাস্টিস অ্যালায়েন্স-বাংলাদেশ’ সেই দায়িত্বশীল ভূমিকাটিই পালন করছে।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম, পরিবেশবিদ শরীফ জামিল, ওয়াটারএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান, সিসিডিবির নির্বাহী পরিচালক জুলিয়েট কেয়া মালাকার, বুয়েটের পানি ও বন্যা ব্যবস্থাপনা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ডা. এ কে এম সাইফুল ইসলাম, এসডিসের নির্বাহী পরিচালক রাবেয়া বেগম, হেলভেটাস, বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর প্রশান্ত ভার্মা, ওয়াটার এইডের জলবায়ু ও জল শাসন বিশেষজ্ঞ আদনান ইবনে আদবুল কাদের প্রমুখ।
নাগরিক সমাজের পজিশন পেপারে নিয়ে একটি প্রেজেন্টেশন দেন সিপিআরডির সহকারী ব্যবস্থাপক শেখ নুর আতায়া রাব্বি।
আপনার মতামত লিখুন :