আগের সরকার অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর অবস্থায় রেখে গেছে। উত্তরাধিকার সূত্রে এই সরকার খুব খারাপ অবস্থা পেয়েছে। যারা ব্যাংকের সম্পদ লুণ্ঠন করেছে তাদের সম্পদ কেন বাজেয়াপ্ত হলো না। এখনও অধিগ্রহণ করতে না পারলে কিসের বিপ্লব। অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং আইনশৃঙ্খলায় স্বস্তি ফেরাতে না পারলে কোনো সংস্কার সফল হবে না।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) ইআরএফ কার্যালয়ে আয়োজিত এক আলোচনায় সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য এসব কথা বলেন।
‘বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থার’ ওপর আয়োজিত ডায়ালগে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. এম এ রাজ্জাক। ওপেন বাজেট সার্ভের ওপর একটি উপস্থাপনা তুলে ধরেন ড. এম আবু ইউসূফ। ইআরএফ সভাপতি মোহাম্মদ রেফায়েত উল্লাহ মীরধার সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন, অর্থ মন্ত্রণালয়েরর যুগ্ম-সচিব আনারুল কবির। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইআরএফ সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকারকে পাঁচটি বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত ও সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। আর এজন্য দরকার তারল্য পরিস্থিতির উন্নয়ন এবং জ্বালানি সমস্যা দূর করা। একই সঙ্গে সরকারি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিদেশি অর্থায়নের প্রকল্পে বেশি জোর দিতে হবে। কর আদায়ের ক্ষেত্রে ডিজিটালাইজেশনের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।
তিনি বলেন, আগামী রোববার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে শ্বেতপত্র জমা দেওয়া হবে। পরদিন সংবাদ সম্মেলন করে পুরো বিষয়টি তুলে ধরা হবে। তখন বোঝা যাবে আর্থিক খাতের যে খারাপ অবস্থা সবাই ধারণা করছে প্রকৃত অবস্থা তার চেয়ে জটিল ও গভীর। উত্তরাধিকার সূত্রে এই সরকার এটা পেয়েছে। অর্থনীতির দুটি ফুসফুস ব্যাংক ও জ্বালানি খাত খুব খারাপ অবস্থায় রাখা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :