রাজধানীতে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী ওয়ালটনের একক শিল্পমেলা ‘অ্যাডভান্সড টেকনোলজি সলিউশন (এটিএস) এক্সপো-২০২৪’। দ্বিতীয়বারের মতো একক এই বৃহৎ শিল্পমেলায় একই ছাদের নিচে ওয়ালটনের সর্বাধুনিক ম্যানুফ্যাকচারিং প্লান্টে উৎপাদিত আন্তর্জাতিক মানের ৫০ হাজারেরও বেশি ইন্ডাস্ট্রিয়াল ম্যাটারিয়ালস, কম্পোনেন্টস, সার্ভিসেস ও টেস্টিং সলিউশন প্রদর্শন করা হচ্ছে। প্রদর্শনীটি চলবে আগামী শনিবার পর্যন্ত।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি হলে এ মেলার উদ্বোধন করেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান। এ সময় অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান, উরি ব্যাংকের কান্ট্রি হেড জিন হুর, কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলন পিএলসির চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার নাজিথ মীওয়ানাগে, ফরেন ডিপ্লোম্যাট সামের আবদেরাজ্জাক এবং টউম সোফিয়ানে, ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির ভাইস চেয়ারম্যান এস এম আশরাফুল আলম এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম মাহবুবুল আলম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মাহবুবুল আলম বলেন, নিজের উৎপাদিত যন্ত্রাংশ ওয়ালটন শুধু একাই ব্যবহার করবে না, বরং অন্যরাও যাতে ব্যবহার করে ভালোমানের পণ্য তৈরি করতে পারে, সে জন্য এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। এখান থেকে ছোট-বড় অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠান তাদের প্রয়োজনমাফিক যন্ত্রাংশের খোঁজ পাবে।
এনবিআর চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান বলেন, দেশের শ্রমবাজারে ১১ থেকে ১২ কোটি মানুষ কাজ করে। এর মধ্যে ১৫ লাখ মানুষ সরকারি চাকরি করে। বাকিদের কর্মসংস্থান করেছে ওয়ালটনের মতো বড় উদ্যোক্তারা। এ ছাড়া তারা প্রতিনিয়ত সরকারকে রাজস্ব দিয়ে দেশের উন্নয়নেও সহযোগিতা করছে। আর একটি জিনিস আমার খুবই ভালো লেগেছে যে, ওয়ালটন নিজেরাই শুধু ভালো করেছে তা নয়, অন্য শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোকেও সহযোগিতা করছে। বিশেষ করে আজকের প্রদর্শনী দেখে তা-ই মনে হচ্ছে। এ সময় এনবিআর চেয়ারম্যান ওয়ালটনকে ‘বাংলাদেশের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর’ হিসেবে উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে কর্মকর্তারা বলেন, মেলায় সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব ও উদ্ভাবনী প্রযুক্তির বিদ্যুৎসাশ্রয়ী নতুন মডেলের পণ্য উদ্বোধন করা হবে। পাশাপাশি মেলা চলাকালীন দেশীয় ইলেকট্রনিকস শিল্পের অগ্রগতি; ইলেকট্রনিকস পণ্যে উদ্ভাবনী, এনার্জি সেভিং এবং পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহারের গুরুত্ব ইত্যাদি বিষয়ে বেশ কয়েকটি আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হবে। এই সভাগুলোতে বিভিন্ন শিল্প খাতের প্রতিনিধি, স্বনামধন্য গবেষক, চিন্তাবিদ, শিক্ষক এবং ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন। তারা বলেন, গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হাইটেক পার্কে গড়ে তোলা হয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন সেন্টার এবং নাসদাত-ইউটিএসের মতো বেশ কিছু আন্তর্জাতিক মানের টেস্টিং ল্যাব। সেখানে নিয়োজিত অত্যন্ত দক্ষ ছয় শতাধিক দেশি-বিদেশি প্রকৌশলী প্রতিনিয়ত বিদ্যুৎসাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব উদ্ভাবনী প্রযুক্তি এবং ফিচারের পণ্য উৎপাদন করছেন। তারা ফিনিশড গুডসের পাশাপাশি ৫০ হাজারেরও বেশি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ইন্ডাস্ট্রিয়াল ম্যাটারিয়ালস, সার্ভিসেস ও কম্পোনেন্টস উৎপাদন করছে। এগুলোর অধিকাংশই দেশের প্রায় সব ধরনের শিল্প প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ধাপে প্রধান কাঁচামাল ও কম্পোনেন্টস হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :