রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৪, ২০২৫, ০৩:৩০ পিএম

এফবিসিসিআই

‘মূসক ও শুল্ক বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত অর্থনীতির জন্য আত্মঘাতী’

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৪, ২০২৫, ০৩:৩০ পিএম

‘মূসক ও শুল্ক বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত অর্থনীতির জন্য আত্মঘাতী’

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

বর্তমানে কঠিন অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তার মধ্যে চলতি ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের মাঝপথে ৯ জানুয়ারি শতাধিক পণ্য ও সেবার উপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ও সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়ে সরকার। অংশীজনদের সাথে আলোচনা না করে মূসক ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি করায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এফবিসিসিআইয়ের বৈষম্যবিরোধী সংস্কার পরিষদ।

অংশীজনদের সাথে মতবিনিময় ছাড়াই মুসক ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত অর্থনীতির জন্য আত্মঘাতী হবে। তাই তাদের সাথে পরামর্শক্রমে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরী কমিশনের মাধ্যমে গ্যাসের মূল্য নির্ধারণের আহ্বান জানান তারা। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এই উদ্বেগ প্রকাশ করেন ব্যবসায়ী নেতারা।

তারা বলেন, গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির জন্যও সরকার উদ্যোগ নিয়েছে, যা কোনভাবেই সঠিক সিদ্ধান্ত নয়। হঠাৎ করারোপ ও গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির প্রস্তাব দেশের সার্বিক জাতীয় অর্থনীতির উপর প্রচন্ডভাবে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

সংবাদ সম্মেলনে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, দেশের অর্থনৈতিক কার্যক্রমকে স্বাভাবিক অবস্থায় এগিয়ে নিতে চেষ্টা চালয়ে যাচ্ছে সরকার। ব্যবসায়ী সমাজসহ সকলেই সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করেছে, সে সময়েই অস্বাভাবিক হারে মূসক ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির পাশাপাশি গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির প্রস্তাব দেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার গতিকে থমকে দেবে। ভ্যাটের বাড়তি চাপ সাধারণ মানুষের উপর পড়বে। দেশে বর্তমানে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে। ভ্যাট বৃদ্ধির ফলে দৈনন্দিন জীবন-যাত্রার খরচ স্বাভাবিকভাবে আরেক দফা বেড়ে যাবে।

বৈষম্যবিরোধী সংস্কার পরিষদের আহ্বায়ক জাকির হোসেন নয়ন জানান, বৈদেশিক মুদ্রার উচ্চ বিনিময় হার, আমদানি খরচ বৃদ্ধি, উচ্চ জ্বালানী ব্যয়, উচ্চ সুদের হার ও বৈশ্বিক প্রভাব দেশের বিনিয়োগের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। সরকার যেখানে বিনিয়োগ বৃদ্ধির মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে মূল্যস্ফীতির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কাজ করে যাচ্ছে। সে সময়ে অংশীজনদের সাথে কোন মতবিনিময় ছাড়াই মুসক ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত দেশের অর্থনীতির জন্য আত্মঘাতী হবে।

তিনি বলেন, সব ধরণের রেস্তোরার বিলের উপর ১০% হারে ভ্যাট বৃদ্ধি করার পাশাপাশি দোকান ও সুপার মার্কেটে বিক্রয়ের উপরও ভ্যাট বৃদ্ধি করা হয়েছে। এতে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেনী সকলেই ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

তাছাড়াও আমদানিকৃত ফল, মুঠোফোন সেবা, ইন্টারনেট, টিস্যু, এলপিজি গ্যাস, পোশাক প্রভৃতির ক্ষেত্রেও বিভিন্ন হারে মূসক বাড়ানো হয়েছে। যেহেতু এসব পণ্য ও সেবা জীবন-যাত্রারই সার্বক্ষনিক অনুষঙ্গ সেজন্য অতিরিক্ত কর বৃদ্ধির ফলে সকল আয়ের মানুষের উপর এর চাপ পড়বে। জীবনরক্ষাকারী ঔষধের উপরও ভ্যাট বৃদ্ধি করা হয়েছে যা কোনভাবেই কাম্য নয়।

বর্তমানে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ৫০ লক্ষ টাকা থেকে ৩ কোটি টাকা পর্যন্ত বার্ষিক লেন-দেন হলে টার্ণওভার কর দিতে হতো। কিন্তু ঘোষিত গেজেট অনুযায়ী বার্ষিক টার্ণওভার কর প্রদানের সীমা ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত করা হয়েছে। এতে ক্ষুদ্র, মাঝারী ও প্রান্তিক ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

সংবাদ সম্মেলনে তারা সুপারিশ করেন, সাধারণ মানুষের উপর হঠাৎ করের বোঝা না চাপিয়ে বিকল্প উপায়ে সরকার রাজস্ব বৃদ্ধির উদ্যোগ নিতে পারে। করের হার না বাড়িয়ে করের আওতা বৃদ্ধি করা জরুরী যাতে সবসময় একই করদাতাকে করের জন্য চাপ প্রয়োগ না করা হয়। তাছাড়া সরকারের অনুৎপাদনশীল খাতে ব্যয় সংকোচন এবং স্বচ্ছতা ও সততা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধির প্রচেষ্টা গ্রহণ করা জরুরী।

সরকার আবারও শিল্পখাতে গ্যাসের দাম বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে। এমনিতে দেশের শিল্পখাত বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন তদুপরি গ্যাসের দাম বাড়ানো হলে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাবে এবং স্থানীয় শিল্প প্রতিযোগিতা সক্ষমতা হারাবে। স্থানীয় শিল্পের স্বার্থে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। গ্যাসের দাম না বাড়িয়ে গ্যাসের অপচয় রোধ ও অবৈধ সংযোগগুলিকে বিচ্ছিন্ন করার মাধ্যমে গ্যাসের সঠিক ও যথাযথ ব্যবহারের উপর গুরুত্ব দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি। অংশীজনদের সাথে পরামর্শক্রমে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরী কমিশনের মাধ্যমে গ্যাসের মূল্য নির্ধারণের আহ্বান জানাচ্ছি।

তারা আরও বলেন, সুদের হার কমানো, বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখা, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য ও বাজার সরবরাহ স্থিতিশীল রাখা, নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ, যানযট নিরসন, বন্দরসমূহের সক্ষমতা বৃদ্ধি প্রভৃতিসহ ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন কার্যক্রম জোরদার করার কথাও বলেন ব্যবসায়ী নেতারা।

আরবি/জেআই

Link copied!