এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) দায় ১২৭ কোটি ডলার বা এক দশমিক ২৭ বিলিয়ন ডলার পরিশোধের পর দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিম্নমুখী প্রবণতায় ছিল। বুধবার (২২ জানুয়ারি) রিজার্ভ কমে ১৯ বিলিয়ন ডলারের ঘরে নেমে এসেছিল। তবে সোমবার (২৭ জানুয়ারি) আইএমএফের হিসাবপদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ বেড়ে হয়েছে ২০ বিলিয়ন ডলার।
জানা গেছে, চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি আকুর নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসের আমদানি বিলের দায় বাবদ ১৬৭ কোটি ডলার পরিশোধ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাবপদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী দেশের রিজার্ভ কমে ২০ বিলিয়ন ডলারের ঘরে নামে।
এরপর গত বুধবার আইএমএফের হিসাবপদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ আরও কমে ১৯ দশমিক ৯৩ বিলিয়ন ডলার হয়। আর বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে গ্রস রিজার্ভ দাঁড়ায় ২৫ দশমিক ২২ বিলিয়ন ডলার।
অন্যদিকে, সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ বেড়ে হয়েছে ২০ বিলিয়ন ডলার এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে গ্রস রিজার্ভ বেড়ে হয়েছে ২৫ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলার।
এর আগে, ২০২১ সালের আগস্ট মাসে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করে। তবে ২০১৭ সালে রিজার্ভ প্রথমবারের মতো ৩৩ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করেছিল। আর বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের প্রভাব শুরুর আগ পর্যন্ত রিজার্ভ ৩২ থেকে ৩৩ বিলিয়ন ডলারের ঘরে ওঠানামায় ছিল।
তবে করোনা-পরবর্তী সময়ে বিশ্ববাজারে সুদহার অনেক কমে আসে। এতে অনেক দেশ বিদেশি ঋণ কমালেও বাংলাদেশে বেড়ে যায়। এ কারণে আগের ঋণ পরিশোধ করতে গিয়ে বাড়তি চাপ তৈরি হয়।
আপনার মতামত লিখুন :