নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা আজ, গুরুত্ব পেতে পারে যেসব বিষয়

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৫, ০৯:৫৫ এএম

নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা আজ, গুরুত্ব পেতে পারে যেসব বিষয়

ছবি: সংগৃহীত

চলতি অর্থবছরের শেষ ছয় মাসের (জানুয়ারি-জুন, ২০২৫) জন্য আজ (সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টায় ঘোষণা করা হবে নতুন মুদ্রানীতি। এবারের মুদ্রানীতির মূল লক্ষ্য হবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, রিজার্ভ সমুন্নত রাখা ও বিনিময় হার স্থিতিশীলতা বজায় রাখা। তবে, সুদের হার না বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের কৌশল নেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং মনোযোগ থাকবে বিনিয়োগ বাড়ানোর দিকে।

গত জুলাই-অগাস্টে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকারের পরিবর্তন হলেও নতুন গভর্নর পুরোনো মুদ্রানীতি পর্যালোচনা করেননি। তবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাজারে টাকার প্রবাহ কমানোর উদ্দেশ্যে নীতি সুদহার বৃদ্ধি করা হয়েছিল, যদিও তার প্রভাব বাজারে তেমন পড়েনি। সাধারণ মূল্যস্ফীতি ডিসেম্বর পর্যন্ত উচ্চ থাকলেও জানুয়ারিতে কিছুটা কমলেও খাদ্য মূল্যস্ফীতি এখনো উচ্চ।

এমন পরিস্থিতিতে গভর্নর হিসেবে প্রথমবারের মতো মুদ্রানীতি ঘোষণা করতে যাচ্ছেন ড. আহসান এইচ মনসুর। তার মতে, জানুয়ারি-জুন সময়ের জন্য এই নীতির ভঙ্গি হবে অত্যন্ত সতর্ক এবং সুদের হার বাড়ানো না হয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী মুখপাত্র মোহাম্মদ শাহরিয়ার সিদ্দিকী জানান, এবারের মুদ্রানীতি অত্যন্ত সতর্কতামূলক হবে। কারণ দেশের অর্থনীতি স্বাভাবিক অবস্থায় নেই। এর মধ্যে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রক্ষা, বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখা এবং মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি দেশের অর্থনীতির বর্তমান সমস্যাগুলো চিহ্নিত করার লক্ষ্যে এটি করা হচ্ছে।

ব্যবসায়ীদের মতে, সুদের হার বাড়ানো মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে উপযুক্ত নয়। তারা জানান, দেশের শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যাংক ঋণের ওপর নির্ভরশীল, ফলে সুদের হার বাড়ালে পণ্য উৎপাদন খরচ বাড়বে এবং মূল্যস্ফীতি বাড়বে। এজন্য তারা ভারসাম্যপূর্ণ মুদ্রানীতির প্রস্তাব দিচ্ছেন।

বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) নির্বাহী সভাপতি ফজলে শামীম এহসান বলেন, দেশের পরিস্থিতি অন্য দেশের তুলনায় ভিন্ন, যেখানে ভোক্তা ঋণ বেশি এবং সুদের হার বৃদ্ধির কারণে ভোক্তাদের কেনাকাটা কমে যায়। তাই একটি মাঝারি মুদ্রানীতি কার্যকর হবে।

এদিকে, অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (বিআইএসএস) গবেষণা পরিচালক ড. মাহফুজ কবীর জানান, উচ্চ মূল্যস্ফীতি দীর্ঘ সময় ধরে চলতে দেয়া যাবে না। মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনতে হবে এবং সুদের হারও কমাতে হবে। মুদ্রানীতিতে নমনীয়তা প্রয়োজন, যা দেশের অর্থনীতি এবং ব্যবসার জন্য উপকারী হবে।

আরবি/এফআই

Link copied!