ঢাকা শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

সামাজিক মাধ্যম কাকে ক্ষোভ ঝাড়লেন তনি

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৫, ০৯:১৪ পিএম
আলোচিত নারী উদ্যোক্তা রোবাইয়াত ফাতিমা তনি

আলোচিত নারী উদ্যোক্তা রোবাইয়াত ফাতিমা তনি। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড আইডি থেকে ক্ষোভ প্রকাশ করে একটি পোস্ট দিয়েছেন তিনি। তবে পোস্টে কারও নাম উল্লেখ করেননি তিনি।


শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ওই পোস্টে রোবাইয়াত ফাতিমা তনি লেখেন, আমি যখন লাইভ করতাম না, তখন আমার প্রতিষ্ঠান সানভিস বাই তনি মিনিমাম ১২/১৫ জন লাইভ প্রেজেন্টারের সঙ্গে কাজ করেছে, একজন কুখ্যাত মহিলা ছাড়া বাকি সবার সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক, তাদেরকে আমি অসম্ভব সম্মান করি, ভালোবাসি।

 

তিনি আরও লেখেন, আমি অলওয়েজ বিশ্বাস করি এবং সব জায়গায়, সব ইন্টারভিউতে বলেছি—আমরা উদ্যোক্তারা ও প্রোমোটাররা একে অপরের পরিপূরক, একে অপরের বন্ধু। একসঙ্গে কাজ করতে গেলে একটু-আকটু ঝামেলা হতেই পারে, ঘরে অনেকগুলো ভাই-বোন থাকলে তাদের মধ্যেও হয়।


তনি লেখেন, দেশে অনলাইনে ৫০ হাজারের বেশি উদ্যোক্তা বিভিন্ন পণ্য নিয়ে কাজ করে। যারা নিজেকে লাইভ প্রেজেন্টার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চান এটা কিন্তু আপনাদের জন্য খুব বড় একটা জায়গা। এইবার আসি আসল কথায়, বাংলাদেশের একমাত্র তবলা বাদকের বৌ ইদুর আম্বানি নিজেকে এমন জায়গায় নিয়ে গেছে, কোনো মানুষকেই সে মানুষ মনে করে না, উদ্যোক্তা হোক আর লাইভ প্রেজেন্টার হোক সবাইকে তিনি খোঁচাবে, সবাই তার হাতের ফাঁকা দিয়ে পড়ে যায়—একটা মানুষের সঙ্গে সে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখে না, শুধুমাত্র নায়িকাদের পা চাটা ছাড়া।

 

এই নারী উদ্যোক্তা আরও উল্লেখ করেন, সে নিজেকে নম্বর ওয়ান ব্রান্ড প্রোমোটার হিসেবে পরিচয় করায়, আর অন্য প্রোমোটারদের মেয়াদোত্তীর্ণ বলে হেয় করে। কয়েক দিন আগে এক টকশোতে সে আমার সঙ্গে কোনো যুক্তিতেই পারে না এবং উপস্থাপিকার প্রতিটা প্রশ্নের জবাবে নিজেকে নির্দোষ আর অন্য প্রোমোটারদের ওপর সব দায় চাপিয়ে দেয়, যার ভিডিও আপনারা অলরেডি দেখেছেন। তখন আবার আপার জামাই আমার হাসব্যান্ডকে নিয়ে নোংরা ভাষায় পোস্ট দেয়, যা সবাই দেখেছেন।

 

তিনি লেখেন, রিসেন্টলি আমি একটি রেস্টুরেন্ট ওপেন করি এবং এটার প্রোমোশন করি কারণ এটাতে ১০০০ মানুষের ক্যাপাসিটি, যেটাতে আমার ৪০% শেয়ার এবং এটা ছাড়াও আমার আরও অন্য রেস্টুরেন্টেও শেয়ার আছে—যা নিয়ে আমি কোনোদিন শো-অফ করি নাই। কিন্তু এই আপা নিজে যেমন পা থেকে মাথা পর্যন্ত ফেক, ঠিক তেমনি আমাকে নিয়ে পোস্ট দিয়ে লিখে—আমি নাকি রেস্টুরেন্টের ফেক মালিক। তার আর তার জামাইয়ের আগের অপকর্মগুলোই এখনো ভুলি নাই, আবার সে আসছে আমাকে খোঁচাতে। 

 

সবশেষে তিনি লেখেন, যে অপকর্ম গুলো করেছেন উদ্যোক্তাদের সঙ্গে, আপনার বিরুদ্ধে ডাক দিলে কয়েক শ’ উদ্যোক্তা দাঁড়াবে, তখন পালানোর জায়গা পাবেন তো! এখন তো বাঁচানোর জন্য হাউন আংকেল নাই।