৬ মাসে ২৫ হাজার টন চাল রপ্তানির সিদ্ধান্ত

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৫, ১০:২১ এএম

৬ মাসে ২৫ হাজার টন চাল রপ্তানির সিদ্ধান্ত

ছবি: সংগৃহীত

এক বছরেরও বেশি সময় পর অবশেষে সুগন্ধি চাল রপ্তানির সুযোগ উন্মুক্ত করেছে সরকার। সুগন্ধি চালের রপ্তানির পরিমাণ ও মূল্য নির্ধারণে গঠিত ১১ সদস্যের নতুন কমিটি বছরে ২৫ হাজার টন সুগন্ধি চাল রপ্তানির সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে।

এ বিষয়ে গত সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) খাদ্য মন্ত্রণালয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিস্তারিত আলোচনা শেষে বাংলাদেশ চাল রপ্তানিকারক সমিতি ও বাংলাদেশ এগ্রো প্রসেসরস অ্যাসোসিয়েশনের (বাপা) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২৫ হাজার টন সুগন্ধি চালের রপ্তানি কার্যক্রম ছয় মাসের মধ্যে সম্পন্ন করার সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়। যদিও বাপা এক বছর সময় নিয়ে ৫০ হাজার টন চাল রপ্তানির দাবি করেছিল।

বাপা প্রতি কেজি চালের জন্য ১ দশমিক ৩০ মার্কিন ডলার দাম নির্ধারণের প্রস্তাব দিলেও, দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি কেজি ১ দশমিক ৬০ ডলার।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় খাদ্য মন্ত্রণালয় ও কৃষি মন্ত্রণালয়কে সুগন্ধি চাল রপ্তানির অনুমতির সংশ্লিষ্ট তথ্য জানাবে। চাল রপ্তানিকারকদের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের রপ্তানি অনুবিভাগে আবেদন করে কোম্পানি অনুযায়ী অনুমোদন নিতে এবং অনুমোদনের শর্তাবলি অনুসরণ করতে বলা হয়েছে।

এর আগে ২২ জানুয়ারি খাদ্য মন্ত্রণালয়ের খাদ্য পরিকল্পনা ও পর্যবেক্ষণ কমিটির সভায় সুগন্ধি চাল রপ্তানি উন্মুক্ত করার বিষয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর সুগন্ধি চালের রপ্তানিমূল্য ও পরিমাণ নির্ধারণের জন্য নতুন একটি কমিটি গঠন করা হয়।

দেশ থেকে প্রথম বছরে ৬৬৩ টন সুগন্ধি চাল রপ্তানি হয়েছিল। পরবর্তী বছরগুলোতে রপ্তানির পরিমাণ বাড়তে বাড়তে ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১০ হাজার ৮৭৯ টনে পৌঁছেছিল।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সূত্রে জানা যায়, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৮৬ লাখ, ২০২০-২১ অর্থবছরে ৮৫ লাখ এবং ২০২১-২২ অর্থবছরে ৫১ লাখ মার্কিন ডলারের সুগন্ধি চাল রপ্তানি হয়েছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, দেশে বছরে গড়ে ১৮-২০ লাখ টন সুগন্ধি চাল উৎপাদন হয় এবং গড়ে ১০ হাজার টন রপ্তানি হয়। উৎপাদনের তুলনায় রপ্তানির পরিমাণ কম হওয়ায়, চাল রপ্তানিতে খাদ্য নিরাপত্তার কোনো ঝুঁকি নেই বলে দাবি করছে রপ্তানিকারকরা।

আরবি/এফআই

Link copied!